সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন দীপ্ত টেলিভিশন ও দৈনিক বাংলা ’৭১ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম জিয়াউল হক তাকে দুটি মামলায় জামিন দেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় তিনি সাতক্ষীরা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমি শহরের বড় বাজার থেকে কাচা সবজির বাজার করে পুরাতন সাতক্ষীরার কুদ্দুস আলীর মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলাম। পথিমধ্যে দিবানৈশ কলেজ মোড় ও পিএন স্কুল রোডের মাঝামাঝি জায়গা থেকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তারেক ইবনে আজিজ ও উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বাধ্য করেন। পরে আমাকে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে শহরের ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। এসময় আমার কাছ থেকে দুটি মোবাইল তারা কেড়ে নেয়। সেখান থেকে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা একটি কালো রংয়ের প্রাইভেট কারে তুলে আমাকে দেবহাটার বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে বিকাল ৩টার দিকে থানায় নিয়ে যায়।

রাত ৮টার দিকে হযরত আলীর মাইক্রোবাসে করে আমাকে ও ঢেবুখালীর রেজাউল ইসলামকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা. বুশরা। এসময় জরুরী বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ড বয় আমার কোন শারিরীক সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে আমি বলি আমার কোন শারিরীক সমস্যা নেই। অথচ আমি শারীরিকভাবে নির্যাতিত উল্লেখ করে একটি ব্যবস্থাপত্র তৈরী করে এসআই লালচাঁদ ও এসআই শামীমের হাতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আবারও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে আমার থানা লকআপ থেকে মোবাইলে ছবি ধারন করা হয়। ২৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমাকে ও সমীরন সরকার নামের এক চেক ডিজঅনার মামলার আসামীকে একইসাথে পুলিশ পিকআপে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আমাকে নামিয়ে সমীরনকে কোর্টে পাঠানো হয়। সেখানে আমি নির্যাতিত হই। পরে আমাকে আদালতে ৪টার দিকে আদালতে আনা হয়। আদালতে এসে আমি জানতে পারি আমাকে দেবহাটার একটি ঘেরের লুটপাট, বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩), ২৫-ডি তৎসহ বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ৩/৪/৬ ধারায় একটি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও একটি মামলা দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম জিয়াউল হক আমাকে দুটি মামলায় জামিনে মুক্তি দেন। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টায় আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাই।

(আরকে/এএস/জানুয়ারি ২৯, ২০২৩)