একে আজাদ, রাজবাড়ী : আস্থার আর এক নাম এমপি জিল্লুল হাকিম। রাজবাড়ী জেলার গন মানুষের নেতা জিল্লুল হাকিম। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষেরও আস্তালাভ করছে সে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপি। তার নির্বাচনি এলাকা রাজবাড়ী -২ আসন (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি)।

রাজবাড়ী জেলার সকল পর্যায়ের মানুষের একমাত্র আস্থাভাজন জিল্লুল হাকিম এমপি। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পার্লামেন্টের চার বারের রিয়েল মেম্বার। রাজবাড়ী জেলাকে একক নেতৃত্বে একটা ডিজিটাল জেলা হিসেবে পরিনত করেছেন৷ রাজবাড়ী জেলার প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তার উন্নয়নের ছোয়া। অসংখ্য পাকা রাস্তা নির্মাণ, খাল খনন,বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ সকল প্রকার উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডে তার হাতের স্পর্শ আছে। তিনি ৯৬ সালে প্রথম বারের মতো রাজবাড়ী -২ আসন (পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি) নির্বাচিত হন। তার আগে থেকেই তিনি এই তিন উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী নিয়ে রাজবাড়ী জেলা কে একটা সুসংগঠিত করে। এর ফলে নির্বাচনে সে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এর পর ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর কাছে হেরে যান।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজবাড়ী থেকে বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে কঠোর ভুমিকা পালন করে। তখন থেকেই রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের শক্ত দুর্গ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত লাভ করে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাজবাড়ী দুটি আসনেই বিপুল ভোটে বিজয়ি হয়। যা ছিল জিল্লুল হাকিম এর সাংগঠনিক দক্ষতার ফলশ্রুতি। আর এরই মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশস্ত আস্থাভাজন হয়ে ওঠে জিল্লুল হাকিম এমপি। বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি জিল্লুল হাকিম এর আস্থা রেখে বার বার তাকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন।

জেলার তৃনমুল জনগণের কাছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এমপি জিল্লুল হাকিম আমাদের আস্থার নাম, জেলার সকল ওয়ার্ডের সকল পর্যায়ের মানুষের আপদে বিপদে সর্বদা পাশে থাকেন। জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপির নেতৃত্বে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালি হয়। গত জেলা পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, এবারের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা অন্যান্য জেলার সম্মেলন থেকে অনেক বড়। উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আরো বলেন, এমপি জিল্লুল হাকিম এর সময়ে রাজবাড়ী জেলাতে সব সময় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। অন্যান্য জেলায় দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ সহ পৌরসভা নির্বাচনেও অন্য দলের লোক বিজয়ী হয়। এক্ষেত্রে রাজবাড়ী জেলা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র গোস্বামী বলেন, ৯৬ এর আগে রাজবাড়ী আসন আওয়ামী লীগের ছিল না। জামায়াতের দখলে ছিল। ৯৬ এর নির্বাচনে জিল্লুল হাকিম এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়। সেই থেকে রাজবাড়ী জেলার তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে সক্ষতা গড়ে উঠে।
তিনি তৃনমুলের প্রতিটা নেতাকর্মীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে। যার কারনে প্রতিটা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী-- ২ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।

সম্প্রতি সময়ে বিএনপি জামায়াতে বিভিন্ন জেলাতে নানা আন্দোলন সংগ্রাম চালালেও রাজবাড়ী তে তেমন কিছু করতে পারে নাই। যদিও তার বয়স হয়েছে। তবে এটা কোনো বিষয় না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে, জেলা আওয়ামী লীগ কে আরো বেশি শক্তিশালি করতে নিয়মিত জেলার তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নানা সভা সমাবেশে চালিয়ে যাচ্ছে।

(একে/এএস/জানুয়ারি ২৯, ২০২৩)