নবী নেওয়াজ, পাবনা : পাবনা সদর উপজেলা সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামে অবস্থিত কাদেরিয়া খানকা শরীফ ও চরপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে লালসালুর ব্যবসায় বাধা দিলে হুমকি ও মামলার অভিযোগ উঠেছে চৈনিক আব্দুস সালাম ওরফে বিশুর নামে। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত গ্রামের একটি ভিটার উপরে চার চালা একটি টিনের ঘরে ব্যানারে লেখা আছে কাদেরিয়া সিদ্দিকিয়া খানকা শরীফ ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। মাদ্রাসা ও খানকা শরীফ সম্পর্কে এলাকাবাসীকে জিজ্ঞেস করলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানায় এখানে কোন ছাত্র-ছাত্রী নাই শিক্ষকও নাই নাম সর্বোচ্চ সাইনবোর্ডধারী প্রতিষ্ঠান। খানকা শরীফ আছে কিনা বা এর কার্যক্রম চলে কিনা ?

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মাঝেমধ্যে কিছু লোক আসে বড় বড় দুই ফুট লম্বা মোমবাতি জ্বালাইয়া আলো নিভিয়ে কি সব যিকিরাজগার করে বিষয়টি যেকোনো ব্যক্তি জানতে চাইলে এই খানকা শরীফের যিনি নিয়ন্ত্রণ করে বা মাদ্রাসার যিনি প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে সালাম এলাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সময় হুমকি ও মামলার করবে বলে অভিযোগ করেন। পাঁচ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলিমুল্লাহ জানান এটা একটা ধর্মের নামে ব্যবসা মাদ্রাসা খানকা শরীফ এখানে কোন ছাত্র-ছাত্রী নাই এ সম্পর্কে আমি বেশি বলতে পারব না ‌‌ বলতে গেলেই বিভিন্ন রকম হুমকি ও মামলার দিবে বলে অভিযোগ করেন। আলী মেম্বার বলেন ইতিমধ্যে আমার নাম সহ ১১ জনের নামে ৭ধারা মামলা দায়ের করেছেন সাংবাদিক সালাম। মামল নং ৪৬৬/২০২২।

অভিযোগ অস্বীকার করলেন লালসালু খ্যাতো খানকা শরীফের সাংবাদিক আব্দুস সালাম ওরফে বিশু। সালাম এ প্রতিবেদককে জানান, প্রথমে আমার মাদ্রাসায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও প্রয়োজনের শিক্ষকও ছিল। এলাকার কিছু খারাপ লোক শিক্ষকদের রান্নাশীর হুম বিধানকে দিলে শিক্ষকরা মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যায় শিক্ষক না পাওয়ায় ছাত্রছাত্রী এখন নাই। আমি খানকা শরীফে পীরের অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় জালসা ও জিকির আজগার করি।

সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই ধর্মব্যবসা বন্ধ সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

(এন/এসপি/জানুয়ারি ৩০, ২০১৩)