আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি বেসরকারী হাসপাতালের মালিকের আত্মীয় কর্তৃক হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের সহকারী নার্সকে শ্লীলতাহানী ও মারধর করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মালিকের অভিযুক্ত আত্মীয়কে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকার দুঃস্থ মানবতার প্রাইভেট হাসপাতালে সোমবার সকালে। ওই দিন বিকেলে শ্লীলতাহানী ও মারধরের শিকার নার্স বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এসআই মিজানুর রহমান মিশু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

ভুক্তভোগী নার্সের থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দুঃস্থ মানবতা হাসপাতালে কর্মরতে চিকিৎসক ডা. মেহেনাজ ফারিন সাদমা’র সহকারী হিসেবে (নার্স) কাজ করে আসছে পিংকি।
একই হাসপাতালে মার্কেটিং বিভাগে কাজ করছিল স্থানীয় আব্দুল হাশেম ফকিরের ছেলে ও হাসপাতালের মালিক জুবায়ের হোসেনের মামাতো ভাই সোহাগ ফকির। সোহাগ বিভিন্ন সময়ে ওই নার্সকে বিরক্ত করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়।

শ্লীলতাহানীর শিকার নার্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযুক্তর বিচার দাবি করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কর্মরত সোহাগ ফকিরকে চাকুরীচ্যুতকরে। চাকুরী হারিয়ে ক্ষুব্ধ সোহাগ সোমবার সকালে সেবিকার সাথে হাসপাতাল চত্তরে বসে কথা কাটা-কাটির মধ্যে এলোপাথারী মারধর শুরু করে। সোহাগের হামলায় আহত নার্সকে অন্যান্যরা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শ্লীলতাহানী ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নার্স বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এসআই মিজানুর রহমান মিশু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহাগ ফকির ফোনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ওই নার্সের সাথে আমার কথা কাটা-কাটি হয়েছে। কিন্তু আমি তাকে মারধর করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার নার্সের অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৩)