মহম্মদপুরে মিশ্র ফলের চাষ করে সফল শিক্ষক শরাফাতুল আলম
বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খর্দ্দফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা নিজের উদ্যোগে বাড়ীর আঙিনায় মিশ্র ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন কি.ম.স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ক্রীড়া সংগঠক মো. শরাফাতুল আলম।
ফল চাষ অতি লাভজনক হওয়ায় মহান পেশা শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি তিন বছর ধরে মিশ্র ফল চাষ শুরু করেছেন। ফল যেমন এক দিকে লাভজনক চাষ করা অন্যদিকে মানুষের দেহের পুষ্টি চাহিদা মেটায়। বর্তমানে তিনি ৭৫ শতক লীজকৃত জমিতে কঠোর পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন উন্নতমানের ফলের বাগিচা। যার নামকরণ করা হয় তামিম এগ্রো নামে। ফলের বাগিচায় উন্নত মানের ফল ধরেছে। ফলের মধ্যে রয়েছে ভারত সুন্দরী বরই, অষ্টলিয়ান বল সুন্দরী, কাশ্মীর, থাইকুল ও সীডলেস কুল বরই বাগিচায় ফলন হওয়ায় বিভিন্ন রংয়ের কুল ধরন্ত অবস্থায় কুলবাগানের দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে। বর্তমানে বল সুন্দরী-৬৫ টাকা কেজি, কাশ্মীরি- ৬৫ টাকা কেজি, ভারত সুন্দরী -৫০ টাকা কেজি, সিডলেস-৭০ টাকা কেজি মূল্যে ফলের বাগিচা থেকে পাইকারি বিক্রয় করছেন তিনি।
এছাড়া বাগিচায় ধরন্ত অবস্থায় দেখা গেছে, অসংখ্য গাছে উন্নত জাতের গোল্ডেন -৫ ও গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা। পেয়ারা ৬০ টাকা কেজি বিক্রয় করছেন। পেয়ারা অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং সীডলেস চায়না -৩ ও দেশী কাগজী লেবু চাষ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় তামিম এগ্রো এর স্বত্বাধিকারী শিক্ষক মো. শরাফাতুল আলমের সাথে তিনি জানান, ফলের চাহিদা থাকায় এ সিজিনে বাগিচা থেকে ক্রেতারা এসে পাইকারি ফল ক্রয় করছেন। এবার কুল বরই ও পেয়ারা থেকে চার লক্ষাধিক টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। পরিশ্রম মানুষকে ভাগ্য বদলে দিতে পারে তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত শিক্ষক মো. শরাফাতুল আলম।
(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৩)