স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের বিপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচে হাসেনি সৌম্য সরকারের ব্যাট। টানা ব্যর্থতা কাটিয়ে এক ম্যাচ আগে রানে ফেরেন তিনি, করেন হাফসেঞ্চুরি। পরের ম্যাচে অল্প রানে সাজঘরে ফিরলেও আজ (সোমবার) আরও একবার ঝড় তুলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। টপঅর্ডার রানে ফেরায় ঢাকা ডমিনেটর্সও ফিরেছে জয়ের ধারায়। ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে নাসির হোসেনের দল।

লক্ষ্য ছিল ১৫৭। সৌম্য ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ৩৭ রান। মোহাম্মদ মিঠুন ওপেনিংয়ে নেমে ৩৬ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস।

এরপর আবদুল্লাহ আর মামুন ২১ বলে ২৬, অ্যালেক্স ব্ল্যাক ১২ বলে ১৫ আর আরিফুল হক ১ রানে আউট হয়ে গেলেও 'ফিনিশার' নাসির ম্যাচ ফিনিশ করেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। ১৬ বলে নাসির অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।

সাকিব আল হাসান ১৮ আর সানজামুল ৩৫ রান খরচা করে নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে এক এনামুল হক বিজয় ছাড়া টপ আর মিডল অর্ডারের কেউ দাঁড়াতে পারলেন না। বিজয় যখন আউট হন, তখনও বেশ খারাপ অবস্থা ফরচুন বরিশালের। ৯২ রানে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট।

সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে চড়ে মোটামুটি ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছায় বরিশাল। শেষদিকে সালমান হোসেন আর করিম জানাতের চেষ্টায় ৮ উইকেটে ১৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল বরিশাল। সাইফ হাসান আর এনামুল হক বিজয় গড়েন ৩৮ বলে ৪২ রানের জুটি। সাইফ ১৯ বল খেলে ১৫ রান করতে পারেন।

এরপর দ্রুতই ফিরে যান সাকিব আল হাসান (৫), ইব্রাহিম জাদরান (২) আর ইফতিখার আহমেদ (১০)। এনামুল বিজয় ৩৫ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪২ করে সাজঘরের পথ ধরলে বিপদেই পড়ে বরিশাল।

সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন। শেষদিকে সালমান ১২ বলে ১৪ আর করিম জানাত মাত্র ৫ বলেই ১ চার আর ২ ছক্কায় করেন ১৭ রান। আমির হামজা ২২ রানে নেন ২টি উইকেট।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৩)