স্পোর্টস ডেস্ক : এখনও দ্বিতীয় মেয়াদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। প্রধান কোচ নয়, টিম ডিরেক্টর হিসেবেই পাকিস্তান ক্রিকেটে দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে মিকি আর্থারের। কোচিংয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন মিকি আর্থারের নিয়োগ করা কোচিং প্যানেল।

সেই কোচিং প্যানেল ঠিক করা শুরু করেছেন মিকি আর্থার। এরই মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক পেসার ইয়াসির আরাফাতকে বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন তিনি।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, পিসিবি চায় মিকি আর্থারের সঙ্গে কাজ করার জন্য তিন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা তিনজন কোচ নিয়োগ দেবে পিসিবি। ব্যাটিং বোলিং এবং ফিল্ডিং। এর মধ্যে বোলিং কোচের জায়তাটা পূরণ করার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে ইয়াসির আরাফাতকে।

এখনও পর্যন্ত কিন্তু মিকি আর্থারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি পিসিবির। শুধুমাত্র দুই পক্ষ একটি শর্তের ওপর ঐকমত্য করেছে। সেটা হলো, প্রধান কোচ নয়, টিম ডিরেক্টর হিসেবেই পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি। তবে, তিনি সব সময় পাকিস্তান দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। তার নিয়োগ করা কোচরাই কোচিংয়ের বিষয়টা সামলাবেন।

মিকি আর্থার এখন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের। ওই চাকরি না ছেড়েই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে দুই বোর্ড ও ক্লাব থেকেই নাকি অনুমতি পেয়ে গেছেন তিনি।

শুধু ইয়াসির আরাফাতই নন, মিকি আর্থার সহকারী কোচ হিসেবে এরই মধ্যে গ্র্যান্ড ব্র্যাডবার্নকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন প্রায়। গ্র্যান্ড ব্র্যাডবার্ন এর আগে পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন এবং পিসিবির হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

৪০ বছর বয়সী ইয়াসির আরাফাতের কোচিং ক্যারিয়ারটা মোটামুটি ভালো। এর আগে কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের কোচ ছিলেন তিনি। এছাড়া হংকং জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের লেভেল-৪ কোচিং কোর্স সমাপ্ত করেন আরাফাত।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, সব ফরম্যাট মিলিয়ে মাত্র ২৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আরাফাত। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। প্রায় দুই দশক ধরে ২০৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন ২৫৭টি। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২২৬টি।

পাকিস্তানছাড়াও স্কটল্যান্ড, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেছেন তিনি। ২০১৯ সালে এমসিসির হয়ে নেপালের বিপক্ষে কীর্তিপুরে সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন তিনি। অথচ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় ২০০০ সালে, করাচিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৩)