নিউজ ডেস্ক : ইবোলা ভাইরাস নিয়ে পৃথিবীজুড়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এ থেকে মুক্তি নেই বাংলাদেশেরও। এইডস এর পর এমন একটি ভাইরাস পৃথিবীতে এল যা নিয়ে মানুষের মনে দেখা  দিয়েছে অন্যরকম উদ্বেগ। আসলে এই ভাইরাস কী, আক্রান্ত হলেই বা কী হয় আমাদের শরীরে ? এ থেকে পরিত্রানের উপায়ই বা কী ? এই নিয়েই সংক্ষিপ্ত লেখা-

ইবোলা একটি ভাইরাস। যা গ্রাস করছে পৃথিবী। এটি হলে কী হয়? প্রচন্ড কাপুঁনি দিয়ে জ্বর আসে । ক্রমে দুর্বল এবং ক্ষীণ হতে থাকে শরীর। মাংসপেশীতে অনুভূত হয় প্রচন্ড ব্যথা। হতে পারে গলা ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া। শরীরে দেখা দিতে পারে র‌্যাশ সদৃশ দানা। মনে হতে পারে, এটি টাইফয়েড বা ম্যালেলিয়া জ্বর। ফলে অকেজো হতে পারে কিডনি বা লিভারের মত শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অল্পকথায় জেনে নিই ইবোলা সম্পর্কে-


যে কারণে হতে পারে : প্রধানত: রক্ত, লালা এবং শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটে।


চিকিৎসা : এখনও আবিস্কৃত হয়নি ইবোলার কোন ওষুধ । এ পর্যন্ত দুটো ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। তবু চূড়ান্তভাবে বাজারজাত হয়নি। স্বাভাবিক জীবন-যাপনের মাধ্যমে এ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেই সম্ভব ইবোলা থেকে নিস্কৃতি পাওয়া ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম এই ভাইরাসের সন্ধান পান। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার একজন মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। বানর জাতীয় পশুর শরীর থেকে আসা এই ভাইরাস মানুষের শরীরে দ্রুত সংক্রমিত হয়।

(টিআর/এএস/অক্টোবর ২০, ২০১৪)