বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলায় লাখ টাকা যৌতুকের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় স্বামীর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে স্ত্রী সোনিয়া বেগম (১৯) তিনদিন ধরে মোংলা হামপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই রফিকুল ইসলাম মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

নির্যাতিতা সোনিয়া বেগমের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, ৭ মাস আগে বাগেরহাটের মোড়েলগন্জ উপজেলার জিউধারার বয়ারশিং গ্রামের মৃত আঃ মান্নানের মেয়ে আমার বোর সোনিয়ার সাথে মোংলা পোর্ট পৌরসভার মাকড়ঢোন এলাকার আলকাজ হাওলাদারের ছেলে আসলাম আসলাম হাওলাদারের (৩১) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আসলাম ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী সোনিয়াকে নির্যাতন করে আসছিলো। সর্বশেষ গত শনিবার সকাল ৯টায় আসলাম তার স্ত্রী সোনিয়াকে ওই যৌতুকের দাবীতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে আমি এসে তাকে ঘর থেকে উদ্ধার করে ওইদিনই উপজেলা মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনদিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আমার বোন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমি রবিবার রাতে আসলামের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

নির্যাতনের শিকার সোনিয়া জানান, আমার বাবা নেই, আমরা গরীব মানুষ। কিভাবে তাকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দিবো। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকে আমার সাথে ঝগড়াবিবাদ ও মারধর করে আসছিলো স্বামী আসলাম। গত শনিবার আবারো সেই টাকা চেয়ে আমাকে বেদমপারপিট করে। আমার সারা শরীরের কোথাও মারতে বাকী রাখেনি। তিনদিন ধরে হাসপাতালে আমার খোঁজও কেউ নিতে আসেনি। স্বামী আসলাম এখনও ফোন করে যৌতুকের সেই ১ লাখ টাকা চাইছেন। এ টাকা দেয়ার সামর্থ্য আমার পরিবারের নেই।

অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে আসলাম বলেন, এসব মিথ্যা, আমার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারধর করিনি, এটা পারিবারিক বিষয়।

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, সোনিয়াকে নির্যতনে বিষয়ে তার তার ভাইয়েদের দেয়া একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩)