পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাজুকাঠী গ্রামের এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে ধর্ষক জলিল হাওলাদার এলাকার একজন সুদ ব্যবসায়ী। এ ছাড়া সন্ত্রাস, চুরি ও অস্ত্র মামলার আসামী ছিলো এই জলিল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুদের টাকা দিয়ে গরীব লোকদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নারীদের সম্ভ্রমহানি তার পেশায় পরিনত হয়েছিলো। ধর্ষিতা নারী এ প্রতিবেদককে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় জলিল তাকে কথা শোনার জন্য ডেকে ছিলো। প্রতিবেশী হওয়ায় জলিলের কাছে তিনি যান। এর পরই জলিল তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। তিনি এ কথা কাউকে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। কিন্তু রাত আটটার দিকে পাশের উঠানে ঘরোয়া কাজের জন্য গেলে তার মুখ চেঁপে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে যান এবং সেখানেই তার শ্লীলতাহানী ঘটান।

লোক লজ্জার ভয়ে চিৎকার করতে না পারলেও স্বামী টের পেয়ে যান। তখন জলিল দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে তখন বলেন, আমার মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে এ ঘটনার পর মেয়ের দিকে তাকাতে পারছি না। এর চাইতে মরণও ভালো ছিলো।

ধর্ষিতার স্বামী জানান, আমি জলিলের কাছ থেকে ১০ হাজার সুদে ধার নিয়েছিলাম। সে টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু টাকাটা দেয়ার পর থেকে সে আমার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এর আগেও তার জন্য বহু নারী ঘর ছাড়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, এই লোক আরো কয়েকবার জেল খেটেছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছে। এলাকার মা-বোনদের অত্যাচার করা ওর পেশা।

এলাকার চেয়ারম্যন চান মিয়া মাঝি বলেন, মহিলা আমার কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। তবে ধর্ষক জলিল জানায় টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধ থাকায় তাকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, অভিযোগের পর আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

(এসএ/এএস/অক্টোবর ২০, ২০১৪)