স্টাফ রিপোর্টার : গত কয়েক দিন ধরে টানা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির পর আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি ইচ্ছুদের দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। ঢাবিতে  দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ চেয়ে গত কয়েক দিনের ন্যায় আাজো শিক্ষার্থীরা ঢাবির টিএসটি চত্বরে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করে বেশ কিছু শিক্ষার্থী।শ’দুয়েক শিক্ষার্থী সমবেত হওয়ার পর পুলিশ তা পণ্ড করে দেয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শ’দুয়েক শিক্ষার্থী অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে প্রক্টর ২০/২৫ জন পুলিশ নিয়ে এসে তাদের বাঁধা দেন। পুলিশ সমাবেশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
এসময় প্রক্টর শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এখানে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম চলবে না। আন্দোলন করতে চাইলে তা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে।’

সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্মারক লিপি দেয়ার কথা ছিল বিক্ষোভকারীদের।
এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সমাবেশ করতে পারবে না। বাইরে গিয়ে করতে হবে।

এক পর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপি দেয়ার পর পর তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৩ দিনের সময় বেঁধে দেয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ছাত্র-শিক্ষকরাও সেখানে যোগ দেবেন।

এদিকে স্মারকলিপি দেয়ার আগে শিক্ষার্থীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ শুরু করেছিল। কিন্তু পুলিশের বাধায় তাদের সেই সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ২১, ২০১৪)