নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা ধামইরহাটে এবার চলতি আমন মৌসুমে ২১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল ও রোগ বালাই কম থাকায় কৃষককূল বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,এবার এ উপজেলায় ২১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। সঠিক সময়ে আকাশের পানি, সঠিক পরিচর্জা ও সার কীটনাশকের সংকট না থাকায় ধান গাছগুলো বর্তমানে লকলকে ও তরতাজায় পরিণত হয়েছে। কৃষকরা এবার অধিকাংশ জমিতে সরু চাল হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল ধান রোপন করেছে। এছাড়া ব্রিধান-৪৭, ৪৯, ৬২ ও বিনা-৭ জাতের ধান রোপন করা হয়েছে। অন্যান্য বছর এ সময়ে ধান গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থাকলেও এবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষকদের সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় রোগ বালাই তেমন নেই বললেই চলে।

উপজেলার হাটনগর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ, মালাহার গ্রামের কৃষক বদিউল আলম, আগ্রাদ্বিগুন গ্রামের কৃষক নুরন্নবী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম। তাছাড়া আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ফসল ভালো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.জামাল উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূল ও ধান গাছকে রোগ বালাই থেকে রক্ষার জন্য কৃষকদের আগাম সর্তকতা হিসেবে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রোগ বালাই সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষে প্রায় ১৬ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা পোকা-মাকড়ের হাত থেকে ধানগাছ রক্ষার্থে ধান ক্ষেতের মাঝে ফাঁক দিয়ে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া রাতে প্রচন্ড শীত ও দিনে রোদের তেজ বেশি থাকায় পোকা-মাড়কের আক্রমণ নেই বললেই চলে।

সেপ্টেম্বর মাসে ছোট আকারে বন্যা এ উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জমিতে অধিক পলি পড়ার কারণে ধান গাছের তেজি ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে এবার এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে। হেক্ট্র প্রতি প্রায় সাড়ে ৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।

(বিএম/এএস/অক্টোবর ২১, ২০১৪)