স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কের মিষ্টি ব্যবসায়ী বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। শহরের সুদকারবারী মশিয়ার রহমানের কাছ থেকে চড়া সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। মশিউর রহমান শহরের পার্ক পাড়া এলাকার মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে।

সুদ কারবারি মশিয়ারের করা চেক ডিজ-অনার (এনআই) মামলায় বীরেন্দ্রনাথকে একাধিকবার আদালতে যেতে হয়েছে। শুধু তাই নয় বীরেন্দ্রনাথের আপন ভাই ধীরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধেও আদালতে চেক ডিজ-অনার (এনআই) মামলা করেছে সুদকারবারী মশিয়ার। ধীরেন্দ্রনাথ ৮ লাখ টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন মশিয়ার।

ভুক্তভোগী বীরেন্দ্রনাথ ও ধীরেন্দ্রনাথের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শহরের সুদকারবারী মশিয়ার রহমানের কাছ থেকে তাঁরা ২ লাখ টাকা নেন। এর উপর চড়া সুদ ধার্য করেন মশিয়ার। পরবর্তীতে সুদসহ মোট সাড়ে ১৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তাঁরা। কিন্তু এখনও মশিয়ার তাঁদের কাছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করছেন। মুখে তিনি এ অর্থ দাবি করলেও মামলায় তিনি ৮ লাখ টাকা দাবির কথা লিখেছেন। বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মশিয়ারের সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, মশিয়ার সুদকারবারী করে বিভিন্ন মানুষকে পথে বসিয়েছেন। অনেক মানুষ সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। মশিয়ার অবৈধ এ পন্থা অবলম্বন করে বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের হয়রানী করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, সুদকারবারিদের কবলে পড়ে অভাবি ঋনগ্রস্থ অনেক মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। আমরা বিশেষ ক্ষমতা আইনে ইতিমধ্যে বেশকিছু সুদকারবারিকে গ্রেফতার করেছি। মশিয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩)