ঝিনাইদহে ইউএনওসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষর ছাড়াই টাকা তোলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নাজিম উদ দৌলা।
এ মামলার আসামিরা হলেন- কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষক রজব আলী, সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ্বাস, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এবিএম আহসানুল কবীর, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেম উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার হোসেন ও ব্যাংকটির খুলনা বিভাগীয় জোনাল হেড সাইদুর রহমান। মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, কলেজের অভ্যন্তরীণ আনুষঙ্গিক ব্যয় ও অবকাঠামোগত সংস্কার ব্যয় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাব নম্বর ৫৮৫৮ এবং ৬১২৭ থেকে নির্বাহ করা হয়। হিসাব নম্বর দুটির অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মামলার বাদী অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার ১নং আসামি কলেজের প্রধান হিসাব রক্ষক রজব আলীর কাছে সংরক্ষিত ৫৮৫৮নং হিসাবের চেক বই থেকে নিজের হস্তাক্ষরে লিখিত ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা সংবলিত চেকের পাতাটি বাদীর অনুমতি ও স্বাক্ষর ছাড়াই ২নং আসামি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনোজ কান্তি বিশ্বাসের কর্তৃক স্বাক্ষর করে ৩নং আসামি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষর স্থাপনপূর্বক ৪নং আসামি ব্যাংকের ম্যানেজার এবিএম আহসানুল কবীর বরাবর প্রেরিত ১৫(৪) ২০২৩/১৭৫ স্মারকের একটি বিধিবহির্ভূত পত্রাদেশ দিয়ে পারস্পারিক যোগসাজশে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা পারস্পারিক যোগসাজশে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৫৮ ও ৬১২৭নং হিসাবে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণে সরকারি অর্থ তছরুপ করার চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট কলেজটি সরকারি হওয়ার পর মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পত্রাদেশ ছাড়া যারা পারস্পারিক যোগসাজশে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫৮৫৮ ও ৬১২৭ হিসাব নম্বর থেকে টাকা তুলেছেন তার আদ্যোপান্ত তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহানের সরকারি মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন টুলু জানান, সোমবার দুপুরে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত ঝিনাদহে মামলাটি করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
(একে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩)