কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতি নিয়ত সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন জনগন। ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু না থাকায় জনগণ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া অন্যস্থানে বসে কাজ করলেও সপ্তাহে একদিন ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে বসেন বলে সচিব লিটন চন্দ্র দাস নিজেই দাবি করেছেন।

অপরদিকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার মোঃ ফজলুল হকও বলেন, তিনি সপ্তাহের রবিবার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে জনগণকে সেবা দেন।

ইউনিয়ন পরিষদ ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সঠিক সেবা না পেয়ে শনিবার দুপুরে এলাকাবাসী এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বেজগাও গ্রামের রুকুল মিয়া, মাসুদ আকরাম, হাইয়ুল হাসান, আরশ মিয়া, সঞ্জুর রহমান, জানু মিয়া, দেলোয়ার হোসেন দিলু ও বলাইশিমুল গ্রামের তারা মিয়া তাদের অভিব্যাক্তি ব্যক্ত করে বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও ইউনিয়ন পরিষদে তারা সঠিক সেবা পাননা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কোনদিন অফিসে আসেননা বলে তারা দাবি করেন। সচিবও মাঝে মধ্যে আসেন। তথ্য সেবা কেন্দ্রটি চালু না থাকায় জনগনের ভোগান্তি দিন দিনই বাড়ছে।

দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে বেশিরভাগ দিনই কোন সরকারি ডাক্তার পাওয়া যায়না। এতে সাধারন রোগশোকের চিকিৎসার জন্য জনগণ প্রতিনিয়ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কর্মসূচি চলাকালে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে পাওয়া যায় সচিবকে। তিনি বলেন, সপ্তাহে একদিন ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে বসে কাজ করি। পরিষদের চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকায় চেয়ারম্যানের সুবিধার্থে রেন্ট্রিতলা নামক স্থানে তাকে বসে কাজ করতে হয়। তবে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনা করে সপ্তাহে ৩/৪ দিন ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বসে সেবা দেবেন বলে জানান তিনি।

অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, আমি নির্বাচনের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম, বাঁচার কথাই ছিলনা। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। অসুস্থ থাকায় আমি পরিষদে ঠিকমত যেতে পারিনি। তবে এখন থেকে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সপ্তাহে ২/৩ দিন ইউনিয়ন পরিষদের বসব। তাছাড়া তথ্য সেবা কেন্দ্রটি একজন উদ্যোক্তা পরিচালনা করেন, তিনি যদি ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে সেবা দেন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার মোঃ ফজলুল হক বলেন, রবিবার এবং বুধবার দুই দিন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে সেবা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। আমি প্রতি রবিবার বসে নিয়তিম সেবা দেই। বুধবার অনেক সময় বিভিন্ন প্রশিক্ষন অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা দেয়ার কারণে মূলত সপ্তাহে একদিন এখানে আসতে পারি।

তিনি লোকবল সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন অফিস সহায়ক ও একজন এস.এম.সি.এমও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ফলে অফিস পরিচালনা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

(এসবিএস/এএস/মার্চ ০৬, ২০২৩)