কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সমুদ্র বন্দরে নির্মিত নিরাপত্তা ভবন বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এ ভবন উদ্বোধনকে ঘিরে পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। শিল্প মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি এ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাবনাবাদ নদী ঘেষে টিয়াখালী ইউনিয়নে ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে জাতীয় সংসদে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের জন্য ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩’ পাস করা হয়।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড মেম্বার (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান জানান, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় বহির্নোঙ্গরের কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ছোট ভ্যাসেলের মাধ্যমে পণ্য খালাসের মধ্য দিয়ে এই বন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। রামনাবাদ মোহনা থেকে কাজল, তেতুলিয়া নদী হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত সমুদ্রের (নৌ-পথের) গভীরতা যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। অধিকাংশ রুটের গভীরতা সাত থেকে ১৫মিটার। তবে শুধুমাত্র চালিতাবুনিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় খনন কাজ করতে হবে।

তিনি জানান, অন্যান্য বন্দরে জাহাজ চলাচলে যেমন জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হয়। পায়রা বন্দরের সঙ্গে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে এ ধরনের সমস্যা থাকবেনা। গভীরতা বেশি থাকায় এ রুটে ২৪ ঘন্টা জাহাজ চলাচলের সুযোগ রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ইতোমধ্যে কাউয়ারচরে বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের রজপাড়া পর্যন্ত চার লেনের মূল সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ বছর লালুয়ার চারিপাড়াসহ আশপাশ এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চুড়ান্তের পথে। প্রকল্পের এ কাজ করতে তিন শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। চারিপাড়ায় মূলবন্দরের কাজ শুরু করতে বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

(এমকেআর/এএস/অক্টোবর ২২, ২০১৪)