মোহাম্মদ ইলিয়াছ


বঙ্গবন্ধুর অবদান ও স্মৃতিতে অম্লান রাখার দায়িত্ব ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার কাঁধে দিয়েছে। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সে হাল ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচেছিলেন (১৯২০-৭৫) ৫৫ ছর। এ ৫৫ ছরে বাঙালি জাতিকে তিনি দিয়ে গেছেন একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা, একটি ভূখন্ড তার নাম বাংলাদেশ। তবে মাত্র ৫৫ বছরে তাকে হারিয়ে বাঙালি জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে আজও। তার অনুপস্থিতি বাঙালি অনুভব করছে মন থেকে, হৃদয় থেকে প্রতি মুহূর্তে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছর ৪ মাস ২৯ দিনের জীবনী, তার মধ্যে তিনি শুধু বাঙালিকে দেয়ার চেষ্টাই করেছেন, কোন কিছুর নেয়ার চেষ্টা করেননি, আমরা কিছুই তাকে দিতে পারেনি।

রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, বটবৃক্ষের পূণর্রূপ দেখতে হলে দূর থেকেই দেখতে হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাসের বটবৃক্ষ, স্বাধীনতার মহানায়ক। পাকিস্তানি ২৪ বছরের শাসন-শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত করা এবং স্বাধীন সাবের্ভৗম একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তার নীতি অবদান, সর্বোপরি রাজনীতিতে তার যে আদর্শের চিহ্ন রেখে গেছেন তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সত্যিকার অর্থেই কালের সাক্ষী হিসেবে থাকবে। তার নীতি-আদর্শের ও সংগ্রামী জীবনে ইতিহাসের পাতায় তিনি জলজল করবেন। বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে নেতা হয়ে আসেননি। একজন সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীর হয়ে রাজনীতিতে যার অভিষেক সে কর্মী মানুষটি ধাপে ধাপে কীভাবে জাতির নেতা হয়েছেন কীভাবে শেখ মুজিব থেকে জাতির পিতা হয়েছেন, রাজনীতিতে ব্যক্তি, চেতনা, আদর্শ না থাকলে তা কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু আজ-কাল দেখা যায় কেউ কেউ নেতা হয়েই জন্মেছেন, কেউ কর্মী হতে চান না। কেউ রাজনীতিতে ত্যাগ স্বীকার করতে চান না যা বঙ্গবন্ধুর আদশের্র পরিপন্থী।

পাকিস্তান আমলে শক্তিধর মুসলীম লীগের নেতৃত্বের বিরোধিতা করে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর দক্ষতা, সততা, ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্যদিয়ে রাজনীতির বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হন। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ পরীক্ষিত তার সংগ্রামময় জীবন। বঙ্গবন্ধু তার সাংগঠনিক দক্ষতা, আদশের্র দ্বারা দলটিকে ধাপে ধাপে একের পর এক সংগ্রামে জড়িয়েছেন। সবর্স্তরের নেতা কর্মীদেরআন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। ইতিহাসের প্রয়োজনে তাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়। তিনি তার আদর্শের অটুট ছিলেন, নীতি ও আদর্শের থেকে বিচ্যুত হননি বলেই তাকে বারবার জেল, জুলুম, নিযার্তন সহ্য করতে হয়। তিনি তার অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক চেতনার দ্বারা বঙ্গীয় নামক এ ভূ-খন্ডের আপামর জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্খা হৃদয়ে ধারণ করে তিনি হয়েছেন সাধারণ মানুষের নেতা এবং আওয়ামী লীগ হয়েছে গণমানুষের সংগঠন।

সারা বিশ্বের নির্যাতিত মেহনতি গণমানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন বঙ্গবন্ধু কিউবার ফিদেল ক্যাস্টো। এ দুটি মহান মানুষের জীবনালেখ্য প্রায় একই। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের যেসব ক্ষণজন্মা ব্যক্তির জন্মের মধ্যদিয়ে স্বদেশ ও স্বজাতি আপন মহিমায় মহান্বিত ও আলোকিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু তাদের একজন। ক্ষণজন্মা মানুষ সাধারণত শুভক্ষণে জন্ম নেয়। মুজিবের জন্ম শুভক্ষণে হলেও সে সময়টা ছিল ব্রিটিশ আমল। তাই বলা যায়, তিনি একই সঙ্গে দুটি ধারার রাজনীতি প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি দেখেছেন ব্রিটিশ ও পাকিস্তান বিজাতীয় শাসক ও শোষকের নিযার্তনের ভয়াবহ দুঃশাসন। একই সঙ্গে তিনি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন পরাধীন শাসনের নিষ্পেষিত জনগণের আতর্নাদ ও দীঘর্শ্বাস। তাই বঙ্গবন্ধু তার অসীম সাংগঠনিক দক্ষতার দ্বারা সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসন-শোষণের ইতিহাস পাল্টে দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে জয়ী হয়ে তিনি হয়েছে বাংলাদেশের স্থপতি। যে পাকিস্তান মুজিবকে হত্যা করতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর সব ব্যবস্থার পরও অথচ আমরা কু তাকেই হত্যা করেছি।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সারা বিশ্বে কলঙ্ক জাতি হিসেবে আমাদের পরিচিত করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর প্রধান অপরাধ ছিল পাকিস্তান থেকে পুরো বাংলাকে জনগণ সমথির্ত সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা। বাঙালির মনে ২৪ বছরের পুঞ্জীভ‚ত ক্ষোভকে দাবানলের মতো বিস্ফোরিত করা। একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্ম দেয়া। যার সফল পরিণতি আজকের বাংলাদেশ। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বিপ্লবী আন্দোলন এ দুইয়ের সমন্বয় ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ। যদিও গান্ধী নেতাজীর আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল। তাকে ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। ইতিহাসে তার যে অবদান, মযার্দা তা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে, তার রাজনৈতিক চেতনা ও আদর্শের প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে।

বতর্মান রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে অশিক্ষিত, অধির্শক্ষিত, টাউট, মাস্তান, বিত্তশালী ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের। তারা অর্থের বদৌলতে দলীয় মনোনয়ন পান যার কারণে সাধারণ মানুষ প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। রাজনীতিতে এ ধরনের অনুপ্রবেশকারী বড় দুদলেই রয়েছে। তৃণমূল থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থেকেও হঠাৎ করে বড় রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন। আগে রাজনীতিতে এ ধরনের কোনো ধারা ছিল না। বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন তখন পযর্ন্ত রাজনীতি সঠিক পথেই ছিল। কিন্তু পঁচাত্তরের মর্মান্তিক ঘটনার পর রাজনীতির দৃশ্যপট পরিবতর্ন হতে থাকে। সন্ত্রাস, অর্থ সম্পদ, কালো টাকা, পেশিশক্তির দাপটে সৎ, যোগ্য, মেধাবী, রাজনীতিবিদরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

বলা যেতে পারে রাজনীতি থেকে তারা ছিটকে পড়েন। যারা অর্থ ও পেশিশক্তির জোরে রাজনীতির মাঠ দখল করেছেন তাদের কাছ থেকে জনগণ রাজনৈতিক সেবা পাচ্ছেন না। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। অথচ অতীতে রাজনীতির মাঠে আমরা সেই মানুষকে দেখেছি যারা সাধারণ মানুষের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। মানুষ ও দেশের জন্য ছিল নিবেদিত প্রাণ। যারা মানুষকে ভালো বেসেছেন সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষকে বুঝতেন, তাদের আশা, প্রত্যাশা হৃদয় দিয়ে অনুভব করতেন। নটর ডেম কলেজের জনৈক মার্কিন অধ্যাপক মুজিব সম্পর্কেএকটি মন্তব্য করেছেন, তিনি রাজনৈতিক কবি। আবার ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউজ উইক’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাজনৈতিক কবি বলে আখ্যায়িত করে লেখা হয়, তিনি ‘লক্ষ লক্ষ মানুষকে আকষর্ণ করতে পারে সমাবেশে এবং আবেগময় বাগ্মিতায় তরঙ্গের পর তরঙ্গে তাদের সম্মোহিত করে রাখতে পারেন তিনিই রাজনীতির কবি’। একজন মাকির্ন অধ্যাপক, নিউজ উইক পত্রিকা ও একজন বাঙালি কবি (নিমের্লন্দু গুণ) মুজিবকে কবি অভিধায় অভিসিক্ত করেছেন যথাথর্ভাবে।

বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বচক্ষে দেখেছেন আমি মনে করি তারা ধন্য। আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি তবে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। আমি তখন চতুথর্ শ্রেণির ছাত্র। মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়োল্লাস দেখেছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান শুনেছি। বঙ্গবন্ধুকে স্বচক্ষে না দেখলেও পরবর্তী ছাত্রজীবনে তাকে কিছুটা হলেও পাঠ করেছি। তিনি সত্যিকার অথের্ই খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। ৭১’র পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু কেউ কি অস্বীকার করতে পারবে তিনি না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক। তার মতো আর কেউই বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। বাংলাদেশের মানুষের কথা ভাবলে প্রথমে আমাদের তার কথাই ভাবতে হবে। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতার মহানায়কই ছিলেন না আমাদের বুকের ভিতর অসীম সাহসের উৎসও তিনি। তিনি কোনো দিন বিলাসী জীবন যাপন করেননি। আজ যারা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হয়ে জনগণের অনুদানের টাকায় ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে ওঠে দলীয় কিছু নেতা কর্মীরা অহমিকা তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মাকেই কষ্ট দেন না তার নীতি-আদর্শের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতারই সামিল।

বঙ্গবন্ধুর মতো আদশর্বাদী রাজনীতিক দৃঢ় মনোবল সম্পূর্ণ ভয়, ভীতিহীন নেতা চেহারায় উচ্চতায় ও যোগ্যতায় ব্যক্তিত্বে সমুজ্জ্বল কোনো নেতা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতে আর আবির্ভূত হবেন না। বাহাত্তরে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যখন তিনি লন্ডনে গেলেন তখন দিনটি ছিল ৮ জানুয়ারি শনিবার। ছুটির দিন হওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের বাইরে অবকাশ যাবন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুজিবের প্রতি সম্মান জানাতে তিনি ছুটে এসেছিলেন ক্লারিজ হোটেলে। ১০ ডাইনিং স্ট্রিট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এডওয়ার্ড হিথ তাতে অভ্যথর্না জানান। বাঙালি জাতির জীবনে কি এমন নেতার আবির্ভাব ঘটবে যাকে সম্মান জানানোর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে গাড়ির দরজা খোলেন। দুনিয়ায় যে দেশেই তিনি গিয়েছেন সেখানেই তিনি ধন্য হয়েছেন পেয়েছেন বিরল সম্মান। এমন বিরল সম্মান মযার্দার অধিকারী একজন রাজনৈতিক নেতার ছবি ও দলীয় নেতাকমীর্র ছবি একাকার হয়ে শোভা পাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে, সাঁটানো হচ্ছে আমগাছ, জামগাছ, বটগাছে। এমন নেতার ছবি কি যত্রতত্র ব্যবহার করা যায়?

আমার মতো অনেকেই বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাননি। তবে তাকে পাঠ করে বোঝার চেষ্টা করেছি। তিনি আপাদামস্তক বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের দুনিয়া কঁাপানো সফল নেতা ও একজন দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক মুসলমান ছিলেন। সমগ্র দেশের মানুষকে তিনি আপন করে নিয়েছিলেন। তার হত্যাকান্ড কোনো সাধারণ হত্যাকান্ড ছিল না। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ফসল ছিল। তার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দূরদশির্তা আর সম্মোহনী শক্তির দ্বারা আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্রে সিনেটর ও সাধারণ মানুষের সমথর্ন আদায়ে সফল হন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অকুণ্ঠ সমথর্ন ও সহযোগিতার কথা যেমন তিনি কৃতজ্ঞতায় প্রকাশ করতে ভুল করেননি, তেমনি আত্মমযার্দা জলাঞ্জলি দেননি। তাই তিনি ভারতের সৈন্যবাহিনীকে স্বাধীন দেশ থেকে ফিরিয়ে দেন। এরকম মহান দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আমাদের অন্তরের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা উচিত। আমাদের দেশে কিছু রাজনীতিক আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পৃথিবীর কোনো নেতৃত্বই নিদোর্ষ নয়। তিনিও সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিলেন না।

এমন এক সময় বাংলাদেশ স্বাধীনতা অজর্ন করে যখন বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকা, কমিউনিস্ট চীন, মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করে। একদিকে বহিশত্রু অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, একটি বিশেষ মহল সরকারকে ব্যর্থ করতে উঠে-পড়ে লাগে। তাই বঙ্গবন্ধুকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। তার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। তিনি ছিলেন অন্যায়ের প্রতিবাদকারী বাঙালি জাতির এক অবিংসবাদী নেতা ও অসাধারণ সাহসী যোদ্ধা। তার কারণেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। রক্তমাংসে গঠিত একজন মানুষের কাছ থেকে এর চেয়ে আর বেশি কি আশা করা যায়?বঙ্গবন্ধুর অবদান ও স্মৃতি অম্লান রাখার দায়িত্ব ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার কাঁধে দিয়েছে। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সে হাল ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর অবদান ও স্মৃতিতে অম্লান রাখার দায়িত্ব ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার কাঁধে দিয়েছে। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সে হাল ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের বটবৃক্ষ। তার অবদান সাথর্ক ও মযার্দা সমন্বিত রাখতে আওয়ামী লীগ নেতাকমীের্দর আচার-আচরণ যেমন পরিবতর্ন দরকার তেমনি অহমিকা ত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম বাষির্কীতে তার সুমহান আদর্শের ও মহিমান্বিত স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

লেখক : সহকারী পরিচালক (অর্থ ও বাজেট), অবসর সুবিধা বোর্ড,শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।