রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্ত্রীর শাবলের আঘাতে বাক্-শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্বামী নুরুল ইসলাম (৪৫) কে হত্যা চেষ্টার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রতিবন্ধীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় স্থানীয় চৌমাথা মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

গাইবান্ধা বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য বাক্ প্রতিবন্ধী মোশারফ হোসেন, বাদল মিয়া, মিঠু মিয়া ও মিজানুর রহমান। ইশারায় তাদের দেওয়া বক্তব্যে সহায়তা করেন সংগঠনের সদস্য মাহফুজা আক্তার মনি।

আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান ফুল মিয়া, পলাশবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, প্রেসক্লাব পলাশবাড়ীর সভাপতি মনজুর কাদির মুকৃল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তিতাস, উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান স্বপন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুব আলী টিপু, আবু তোরাব তালুকদার ছাত্র নেতা নিশান প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২ টার দিকে পৌরশহরের কালুগাড়ী গ্রামে কপালে স্ত্রীর শাবলের আঘাতে মাথার ঘিলু বেরিয়ে যায় প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামের। তিনি অদ্যবধি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার মাথায় শতাধিক সেলাই করা হয়েছে। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার নুরুলের স্ত্রী সাজেদা বেগম পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করলেও আমাদের বিশ্বাশ একজন নারীর পক্ষে তার স্বামীকে এভাবে আঘাত করা সম্ভব নয়। এর পিছনে এক বা একাধিক ব্যক্তির প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২ টার দিকে পৌরশহরের কালুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার সাজেদাকে প্রধান আসামী করে দায়েরকৃত মামলায় আরো ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নুরুল কালুগাড়ী গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। দাম্পত্যজীবনে তাদের দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাজেদা শাবল দিয়ে নুরুলকে আঘাত করেছে বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে।

(আর/এসপি/মার্চ ২০, ২০২৩)