স্পোর্টস ডেস্ক : সুযোগ ছিল ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে। সে ম্যাচে ৫ উইকেটে ২১৫ রান তুলেছিল টাইগাররা।

আজ (সোমবার) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। তবে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তোলার পরই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

অবশেষে বাংলাদেশ ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙা হয়নি আর। তবে এটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এখনও বৃষ্টি চলছে। ফলে আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য ঠিক করা হবে।

টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার যে সুবিধা, সেটা শুরুতে আদায় করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। বরং, উল্টো বাংলাদেশের দুই ওপেনারই চেপে বসেছিলো আইরিশ বোলারদের ওপর। দুই ওপেনার মিলে ৭.১ ওভারে গড়ে ফেলে ৯১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। মাত্র ২৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন লিটন।

তবে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার পর নিজের হাফসেঞ্চুরিটা পূরণ করতে পারেননি লিটন। আউট হয়ে যান ৩ রান দূরে থাকতে। ক্রেইগ ইয়ংয়ের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে পল স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

লিটন দাস আর রনি তালুকদারের উড়ন্ত সূচনার পর মাঠে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। ১৩ বলে ১৪ রান করে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যারি টেক্টরের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন শান্ত। ১১৮ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।

তবে লিটন আর শান্ত আউট হয়ে গেলেও রনি তালুকদারের বিধ্বংসী ব্যাটিং অব্যাহত ছিল। মাত্র ২৪ বলেই হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৭ রানে আউট হয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ঝোড়ো ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার।

শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে ব্যাট করতে পাঠানো হয় চার নম্বরে। ২০ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩০ রান করে আউট হন তিনি। তাওহিদ হৃদয় ৮ বলে এক ছক্কায় করেন ১৩। এরপর সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ২০ রানে এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ১ বলে ৪ রান করার পরই বৃষ্টি নামে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৭, ২০২৩)