কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালে বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে জেনারেটর রুমের সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেল থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শতশত রোগী ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক রোগী ভয়ে রাতে দ্রুত বাইরে বের হয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন প্রায় ১৫ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনায় ভয়াবহ দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা।
জানা যায়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের অরুনা বেগমের স্বামী নান্টু মিয়া গত শনিবার থেকে প্রতিদিন রাতে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসে জেনারেটর রুমের পাশে তার মোটরসাইকেলটি উঠিয়ে রাখে। গতকাল রাতে হঠাৎ মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরে যায়।

অরুনার দাবি কেউ ইচ্ছে করে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে কোন ধরনের যান রাখা নিষেধ থাকলেও হাসপাতালে ডিউটিরত পিওন ও নাইটগার্ডকে ম্যানেজ করে যে কেউ হাসপাতালের অভ্যন্তরে গাড়ি উঠিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি দিন ও রাতের বেলাতেও হাসপাতালের সামনে অন্তত অর্ধ শতাধিক গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। একারনে ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা করছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা।

অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালে অভ্যন্তরে রাখা কিছু গাড়ির চালক মাদক পরিবহনের সাথে জড়িত। এ কারনে প্রায়ই হাসপাতালের সামনে থেকে রোগীদের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই এমনকি শ্লীলতাহানির শিকারও হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আব্দুর রহিম জানান, তাদের অগোচরে এক রোগীর স্বজন হাসপাতালের মধ্যে গাড়ি তুলে রাখায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। আর হাসপাতালে সামনে আর কোন গাড়ি পার্কিং করতে দেয়া হবে না বলে জানান।

(এমকে/জেএ/অক্টোবর ২৩, ২০১৪)