স্টাফ রিপার্টার : জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। মঙ্গলবার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদন জমা শেষে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম সাংবাদিকদের জানান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের (৮২) বিষয়ে মোট আটটি ভলিউমের ১ হাজার ৯২০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

এ মামলাটি খুব শিগগিরই পরিচালনা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।

গত বছরের ১৯ মে আব্দুল জব্বারের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার শান্তি কমিটি গঠন, ওই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে শান্তি কমিটি পরিচালনার মাধ্যমে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা নিয়ে মোট পাঁচটি অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

আবদুল জব্বার একাত্তরে পিরোজপুরের জনগণের কাছে এক আতঙ্কের নাম ছিল। তার নির্দেশে মঠবাড়িয়ায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। তিনি আওয়ামী লীগ ও হিন্দু জনগণকে বেছে বেছে হত্যা করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে লুটপাটের পর দোকানপাট ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আব্দুল জব্বার জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তার দুই ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। দুই মেয়ে বিবাহিত, যাদের একজন ফ্লোরিডায় বসবাস করেন। তিনি ফ্লোরিডায় মেয়ের বাসায় অবস্থান করছেন বলে কিছু সূত্র দাবি করেছে। তবে অনেকে বলছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২৯, ২০১৪)