চাঁদপুর প্রতিনিধি : জমি সংক্রান্ত বিরোধে নাতির হাতে সৎ দাদী খুন হয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মমরুজকান্দি (আওলা) গ্রামে গত ২২ অক্টোবর বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ২ চাচা ও অন্তঃস্বত্ত্বা ফুফু গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলেন খোদেজা বেগমের ছেলে আল-আমিন (২৪) ও ফুফু মনি আক্তার (২১)। ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ দুলালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩২)কে আটক করেছে।

জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর বুধবার রাতে উপজেলার মমরুজকান্দি গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিন প্রধানের দ্বিতীয় স্ত্রী খোদেজা বেগম (৬০) ও তার সন্তান জমি বিক্রি নিয়ে মৃত ওয়াজ উদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ইমান আলীর ছেলে দুলালের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ছিলো। গত ২১ অক্টোবর খোদেজা বেগম ও তার সন্তানরা জমি বিক্রি করে। জমি বিক্রি করায় ২২ অক্টোবর বুধবার রাতে ইমান আলীর ছেলে দুলাল, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ফুফাতো ভাই বেগমপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা, ছেলে শাহাদাৎ হোসেন, মমরুজকান্দি গ্রামের মৃত নূরু মণ্ডলের ছেলে মহসিন মণ্ডল, বাবলু মণ্ডল, রহিম কবিরাজের ছেলে মোবারক হোসেন, আলী মিস্ত্রির ছেলে সফিক, আমির বক্সের ছেলে কালা মনিরসহ আরো কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে খোদেজা বেগমের ঘরে হামলা দেয়। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে খোদেজা, ছেলে আল-আমিন ও অন্তঃসত্ত্বা মনি আক্তারের উপর এলোপাথাড়ি মারধর করে।

এতে তারা গুরুতর জখম হয়। জমি বিক্রির সাড়ে ৪ লাখ টাকাসহ ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। পরে আহতদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় আবারো তাদের উপর হামলা করে। পরে ঢাকা নেয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় রাত দেড়টায় খোদেজা বেগম মারা যায়। এদিকে আহত আল-আমিন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্তঃসত্ত্বা মনি আক্তার মতলব দক্ষিণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মতলব উত্তর থানা পুলিশ খবর পেয়ে থানার এসআই আবু হানিফ বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও লাশের সুরত হাল করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা দুলালের স্ত্রী ফাতেমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এসআই আবু হানিফ জানান।

(এমজে/এএস/অক্টোবর ২৩, ২০১৪)