স্টাফ রিপোর্টার : কাপড়ের মান, দাম, বিক্রয়পরবর্তী সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক/কাপড় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি বলেন, বিদেশি পোশাক ও প্রসাধনীর গায়ে আমদানিকারকের নাম ও সিল থাকতে হবে। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) আমদানিকারকের হতে হবে, বিক্রেতারা সেটা নির্ধারণ করতে পারবে না। নকল পণ্যের বিষয়েও সতর্ক থাকবেন। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে কিছু বিক্রয়কারী আমাদের দেশে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে ভেতরে ভেতরে টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিদেশি কাপড় বিক্রয় করছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমাদের কাছে দেওয়া হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। কাপড় ব্যবসায়ীরা মূল্য ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেবেন এ আশাবাদ করি।

সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আড়ং, আর্টিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মনজুর শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভালো থাকে এবং বিদেশি যারা আসেন তারা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। কাপড়ের প্রাইজ ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়, শোরুমে প্রাইস ট্যাগ লাগানো যাবে না।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেওয়া, একটি পোশাকে বিভিন্ন দামের প্রাইজ ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, আসল বলে নকল কাপড় বিক্রি করা- এসব অনিয়ম আমরা অন্যান্য বছর ঈদের সময় মোবাইল কোর্টে দেখতে পেয়েছি।

এছাড়া রেডিমেইড গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে এমআরপি না লেখা, লেখা থাকলে সেটা ঘষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ করা, পুরোনো মূল্যের ওপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশি মূল্য নেওয়া, ১০০ শতাংশ কটন ঘোষণা দিয়ে ১০০ শতাংশ কটন না দেওয়া, কাটা ফাটা পোশাক বিক্রি করা এবং সময়মতো exchange (পরিবর্তন) করে না দেওয়া, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমাণ না রাখা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয় বৈঠকে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা সভার আলোচনা থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ৩০, ২০২৩)