রিপন মারমা, কাপ্তাই : রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুল চাষে মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া মৃত রত্ন মোহন তঞ্চঙ্গ্যা ছেলে মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি গত ৩ মাস আগে  ২৫ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছেন। 

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এক কেজি সূর্যমুখী ফুলের বীজ এনে ২৫ শতক জমিতে চাষ করেছেন মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা। তার সর্বসাকুল্যে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৭হাজার টাকা। কিন্তু তিনি লাভের আশা দেখছেন তিন গুণ। প্রতিদিন গড়ে তার ফুল বাগানে শত শত দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে এক পলক দেখার জন্য এবং ছবি তোলার জন্য। পরিশ্রমী কৃষক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা ভোর ৬ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফুল বাগানের পাশে বসে পাহাড়া দিচ্ছেন যাতে দর্শনার্থীরা ফুল ছিড়ে না নিয়ে যায়। ফুল পরিচর্যা থেকে শুরু করে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে কাপ্তাই কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সমস্যার সমাধান করেন কৃষক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা।

তিনি সূর্যমুখী ফুল পাশাপাশি ভুট্টা চাষ, আখ চাষ করে সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবার যদি ফুল চাষে লাভবান হতে পারি তাহলে আগামি বছর এক একর জমিতে ফুল চাষ করব। কাপ্তাইয়ে ফুল চাষ দেখে স্থানীয় কৃষকরাও সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারাও আগামীতে ফুল চাষ করবেন বলে এই প্রতিবেদকে অনেকেই জানিয়েছেন।

সূর্যমুখী ফুল চাষি মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, উপজেলায় সূর্যমুখী ফুল চাষ দেখে আমার ভালো লেগেছিল সে জন্য আমি অনুপ্রাণিত হয়ে কাপ্তাই কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ফুলের বীজ নিয়ে আসি। ওখানকার কৃষি অফিসার বলেছেন আমার ফুল চাষের বীজ উত্তোলণ করলে তারা সকল বীজ কিনে নিয়ে যাবে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী অনেক কৃষক আমাকে বীজের চাহিদা দিয়ে রেখেছেন। স্থানীয় এনিমং মারমা বলেন, মৃনাল একজন পরিশ্রমী কৃষক। তিনি সূর্যমুখী ফুল চাষে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীদের ভিরে পরিণত হচ্ছে এই সূর্যমুখী ফুল বাগানে।

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সামসুল আলম চৌধুরী, জানান, উপজেলা ১৫ জন কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী বীজ ও সারসহ ১৫ বিঘা জমিতে চাষ করার জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন,অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের গুণ মান ভালো এবং স্বাস্থ্যকর। তাই আমরা এই তেল জাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের নানা রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

(আরএম/এসপি/মার্চ ৩১, ২০২৩)