স্টাফ রিপোর্টার : বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আমাদের যে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উন্নত বিশ্ব, তা অনেকাংশেই পূরণ করেনি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় স্মরণে একটি আলোচনা সভা এবং বাংলাদেশের উপকূল নিয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী, যার শিরোনাম ছিল “২৯ এপ্রিল ১৯৯১ স্মরণ: আমাদের উপক’ল কি এখনও নিরাপদ?”

অধিকার ভিত্তিক সংগঠন কোস্ট ট্রাস্ট এবং আলোকচিত্র প্রতিষ্ঠান কাউন্টার ফটো যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জ্যাকব বলেন, নদী ভাঙনের ফলে ভোলা জেলার আয়তন ১৯৬০ সালের ৬৪০০ বর্গ কিলোমিটার থেকে মাত্র ৩৪০০ বর্গ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে,নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে এই দ্বীপ জেলাটি পুরোপুরি নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। ভোলাকে বাঁচাতে অনেক অর্থ প্রয়োজন।

বরিশাল ১ আসনের মাননীয় সাংসদ তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, উপকূলীয় এলাকার স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। সরকারের একার পক্ষে তা করা সম্ভব না। সম্ভাব্য সকলকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল-এর প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড়ের যেসব সংবাদ পরবর্তী ১ সপ্তাহের সংবাদপত্রে উঠে আসে সেইসব সংবাদপত্রের প্রথমপাতা এবং বর্তমানে ভোলা, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা সহ বাংলাদেশের উপকূলের বর্তমান চিত্র আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের আলোকচিত্রী দীন মোহাম্মদ শিবলী ও তার সহকর্মীদের তোলা ছবি প্রদর্শিত হয়।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম, আলোকচিত্রী দীন মোহাম্মদ শিবলী, কোস্ট ট্রাস্টের শওকত আলী টুটুল, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, কোস্ট ট্রাস্টের মোস্তফা কামাল আকন্দ এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আমিনুল হক।

এসএনআই/এটি/এপ্রিল ২৯, ২০১৪)