মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধন ও সেবাগ্রহীতাদের বিশ্রামের জন্য বসবার দুইটি বেঞ্চ সাদৃশ্য ঘাটলার কাজ চলছে। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।

পুকুরের ঘাটলা নির্মাণের সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন তার নিজের ইট ভাটায়।এতে জনমনে কবে সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ঘাটলা নির্মাণের কাজ করছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির।

অন্যদিকে পুকুর সংস্কারের নামে দুইটি ভেকু মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে খনন করা হচ্ছে।খনন কৃত মাটি ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু তার নিজের ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৬-৭দিন পুকুরে দু’টি ভেকু নামিয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ২দিন বন্ধ থাকার পর আবারও পুকুর থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিচ্ছেন। আসলে পুকুরটি এমনিতেই গভীর ছিল। যেভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এতে বর্ষা মৌসুমে পাড় ভেঙে আশপাশের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটলার প্লার গুলোর নিচ শক্ত মাটি নেই। কোন বেড ছাড়াই ইটের উপর ঢালাই দেওয়া হয়েছে। দেখেই বোঝা যায় নিয়ম অনুযায়ী সিমেন্ট না দেওয়ায় ইটের লাল শুরকি বেড়িয়ে আসছে।এভাবে কাজ শেষ হলে কয়েক বছরের মধ্যে ঘাটলা ভেঙে যাবে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু বলেন, পুকুরের ঘাটলা নির্মাণের জন্য মাটি কাটার প্রয়োজন ছিল।তবে পুকুরে সারাবছর পানি না থাকায় পুকুর খননের উদ্যোগ নিয়েছি। ১০ থেকে ১৫ গাড়ি মাটি নেওয়ার পরেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পরিষদের পুকুরের মাটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন এত মাঠে তাহলে কোথায় রাখব।

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে আমি ঘাটলা নির্মাণের কাজ করছি। পুকুর সংস্কার কিংবা মাটি নেওয়ার বিষয় চেয়ারম্যানের।ঘাটলার পিলারের নিচে মাটি নেই এটা চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি।পিলারের নিচে মাটি না দিয়ে একটু বৃষ্টি আসলেই ভেঙে পড়বে।

(এমজি/এএস/এপ্রিল ০৪, ২০২৩)