একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় ইফতারের সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের হরিণাডাংগা বাজারে এ হামলার ঘটানা ঘটে। এ ঘটানায় একই পরিবারের ৫ জন হামলার স্বীকার হয়ে আহত হয়েছে। হামলার স্বীকার মো. লোকমান হোসেন জেয়াজ্জার বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার ভূক্ত আসামীরা হলেন, চর হরিণাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ বাবু ম-ল (২৭), শহিদ মন্ডল (৪৩), মোঃ সদর মণ্ডল (৪৪), মোঃ শরিফ মন্ডল (৪০), আরিফ মণ্ডল (৩৭), আশরাফুল মন্ডল (৩৫), ছাব্বির মন্ডল (২০), আনিছ মন্ডল (১৯), সাবু ম-ল (২২), শাওন মন্ডল (১৯), টিপু মন্ডল (২৭), রুহুল মন্ডল (১৯) ও রাহাত মন্ডল (১৯)।

মামালার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঘটনার দিন মো. লোকমান হোসেন জেয়াজ্জার তার নিজ বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন। এতে স্থানীয় ধর্মপ্রান রোজাদার মুসল্লিদের দাওয়াত দেন। ইফতারের সময় তার ছোট ছেলে রিফাত জোয়াদ্দার চেয়ারে ইফতার করা কালে শহিদ তার ছোট ছেলেকে উঠিতে বলে। চেয়ার থেকে না উঠলে শহীদের সাথে তার ছোট ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। ইফতার শেষে সবাই বাড়িতে চলে যায়। লোকমান হোসেন জেয়াজ্জারও তার ছেলেদের নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় হরিণাডাঙ্গা বাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চলে যায়। পরক্ষণে মামালার এজাহার ভূক্ত আসামীরা হরিণাডাঙ্গা বাজারে গিয়ে ধরালো রামদা, লোহার রড়, হাতুড়িসহ দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর অতর্কীত হামলা করে। এ হামালায় মোঃ লোকমান হোসেন জোয়াদ্দার (৫৬), মোঃ লোকমান হোসেন জোয়াদ্দারের স্ত্রী রেবা খাতুন (৫০), তিন ছেলে রেজাউল করিম জোয়াদ্দার (৩২), মোঃ রিফাত জোয়াদ্দার (২০) ও মোঃ রিবুল জোয়াদ্দার (৩৫) আহত হয়। আহতরা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন।

মামলার বাদি লোকমান হোসেন জেয়াজ্জার বলেন, হামলার ঘটানায় আমারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানায় মামলা করেছি। আমাদের উপর হামলা করার পরদিন (২৯ মার্চ) রাতে তারা নিজেরাই তাদের বাড়িতে ভাংচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে।

মামলার এজাহারভূক্ত দুই নম্বর আসামী শহীদ মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে গত ২৮ তারিখের হামলা ও মারপিটের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। তারা মামলা করেছে আমরা কোন মামলা করিনি। আমাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছিলো তারা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। ২৯ তারিখে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নামে মামলা হওয়ার পর থেকে আমরা কেউই বাড়িতে নেই। তাহলে কি ভাবে আমরা আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করলাম? কেউ কোন দিন নিজেদের বাড়ি ঘর নিজেরা ভাংচুর করে? করে না। আমাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আমরা কোন মামলা করিনি। তবে মামলা করতে পারি।

পাংশা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, শহীদ মন্ডলের বাড়িতে হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেই ধরণের কোন আলাতম পাইনি। শুধু কয়েক জায়গা ঘরের টিন কাটা দেখতে পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।

(একে/এএস/এপ্রিল ০৫, ২০২৩)