স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : শেন জার্গেনসন অস্ট্রেলিয়া থেকেই ই-মেইলের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। পুরস্কারে পুরস্কারে ভরপুর শেন জার্গেনসেনের বোর্ডের সাম্প্রতিক ‘কড়াকড়ি’টা পছন্দ হয়নি, নিজাম উদ্দিনকে পাঠানো ই-মেইলে সে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরিচালকের মন্তব্য ‘মানহানিকর’ মনে হওয়ায় সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্গেনসেন। বোর্ডকে পদত্যাগের বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি সহকর্মীদের অনেককেই প্রায় অভিন্ন ভাষায় নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে থাকাকালে প্রভূত সহযোগিতার জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি পদত্যাগের কারণ যে ভাষায় জানিয়েছেন তিনি, তার ‘সহনীয়’ রূপটা এমন, ‘এমন অর্বাচীন বোর্ডের সঙ্গে কাজ করা অসম্ভব।’

বোর্ডের অভ্যন্তরে জার্গেনসেনের ‘আবেগ’কে ঘিরে আবার তিন ধরনের ভাবনা রয়েছে। নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত দেওয়ায় জার্গেনসেনবিরোধী শিবিরে স্বস্তির হাওয়া বইছে বলেই খবর। আরেক পক্ষ বিস্ময়ে বিমূঢ় ২০১৫ বিশ্বকাপের বছরখানেক আগে প্রধান কোচের পদত্যাগের ঘোষণায়। আর ‘তৃতীয় পক্ষ’ বিচলিত ঘটনাক্রমে। গত দুই মাসের ব্যর্থতার চেয়ে তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এর আগের দেড় বছরে জার্গেনসেনের সাফল্য।

এ অবস্থায় আগামীকাল বুধবার শেন জার্গেনসেন দেশে ফিরলে কী হবে? তাঁকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাখার চেষ্টা হবে, নাকি ‘অসময়োচিত’ পদত্যাগের দায়ে পত্রপাঠ বিদায় হবে? এ প্রশ্নের উত্তরটা জানেন শুধু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ২৬ সদস্যের বোর্ডের এই ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ জরুরি প্রয়োজনে দেশের বাইরে গেছেন। তাই জার্গেনসেন ইস্যুতে বোর্ডের ‘প্রটোকল’ নিশ্চিত করে বলা কঠিন।

রিচার্ড পাইবাস হুট করে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রধান কোচের দায়িত্বটা অন্তর্বর্তীকালের জন্য তৎকালীন বোলিং কোচ জার্গেনসেনকে দিয়েছিল বিসিবি। দুটি সিরিজের সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে তাঁকে স্থায়ী প্রধান কোচ পদে নিয়োগও দেয় বিসিবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদবৃদ্ধিও ঘটে জার্গেনসেনের। অথচ সেই তিনিই বিশ্বকাপের বছরখানেক আগে ছেড়ে দিলেন দায়িত্বটা।

(ওএস/পি/এপ্রিল ২৯,২০১৪)