নিউজ ডেস্ক : ৫০ বছর ধরে ফসিল বিজ্ঞানীদের হতবুদ্ধি করে রাখা ডায়নোসর সংক্রান্ত একটি রহস্যের সমাধান হয়েছে অবশেষে।

১৯৬০ এর দশকে বিজ্ঞানীরা একটি ডায়নোসরের দু’টি দানবীয় বাহুর ফসিল মঙ্গোলিয়ার মাটি খুঁড়ে বের করেন। এরপর গত পাঁচ দশক ধরে বিজ্ঞানীরা ওই বাহু দুটি কী ধরনের পশুর ছিল তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা শুধু অনুমানই করতে পেরেছেন। নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি।

এবার ওই ডায়নোসরটির পুরো দেহটিই মাটি খুঁড়ে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা যেমনটি কল্পনা করেছিলেন প্রাণীটি তারচেয়েও অনেক বেশি অদ্ভুত আকারের ছিল।

বিজ্ঞানীরা বলেন, এটা আকৃতিতে খুবই বিশাল ছিল। এর ছিল বিশাল ঠোট। পিঠে ছিল উটের মতো কুঁজ। সেটিও ছিল দানবীয় আকৃতির। আর ঘোঁড়ার মতো এর পায়ে খুরও ছিল। খুরগুলোও ছিল দানবীয় আকৃতির।

ন্যাচার নামক জার্নালে এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইনস্টিটিউট অফ জিয়োসায়েন্স এন্ড মিনারেল রিসোর্স (কিগাম) এর গবেষক ইয়োং নাম লি ওই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ডায়নোসরগুলোর মধ্যে এটার আকৃতিই সবচেয়ে বেশি ‘কিম্ভুতকিমাকার’। এর সত্যিকার আকৃতি আমাদের কল্পনাকেও হার মানিয়েছে।’

মঙ্গোলিয়ার মাটি খুঁড়ে সম্প্রতি ওই জাতীয় ডায়নোসরের দুটি পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল উদ্ধার করার মধ্যদিয়ে এর রহস্যের চুড়ান্ত সমাধান করা হয়। গবেষকরা জানান, ডায়নোসরটি লম্বায় ছিল ১১ মিটার (৩৬ ফুট) আর এর ওজন ছিল ৬ টন।

হাঁসের মতো ঠোটসহ এর বিশালাকৃতির লম্বা মাথা ও মুখমন্ডল ছিল। পিঠে ছিল বিশালাকৃতির কুঁজ।

এর পাগুলোও খুবই ছোট ও মোটা ছিল। তবে খুরসহ এর পায়ের পাতাগুলোও ছিল বিশালাকৃতির। কর্দমাক্ত জলাভুমিতে বসবাস করতো বলেই এর পাগুলোর আকৃতি ওরকম ছিল।

গবেষকদের ধারণা এটি খুবই ধীরগতিতে চলাফেরা করতো। আর এর পাকস্থলী পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হচ্ছে এটি উদ্ভিদ ও মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করতো।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ২৪, ২০১৪)