অমল তালুকদার

অসময়ে এমন লাগামহীন বর্ষা বড্ড বেমানান প্রভূ,
বর্গা চাষির কান্নায় ধরনীর বুক ভাসছে
প্রভূ কি তবে আসমানে বসি বেহায়ার হাসি হাসছে!

ওরে জীর্ন শির্ন চাষির দল, তোদের চাওয়া ছিলো; কিছু প্রকৃতির দান, কিছু বৃস্টির জলে পুষ্টি হবে
তরমুজ, মুখ আর সূর্যমুখীর শষ্যদানা আর তার ফল

অসময়ে তুমি ডোবালে আবাদি জমি আর ধরনীতল
মানি নে তোমার চরিত্রহীন মানুষ্যের মত এমন খেলাড়ি ছল

কী এমন অভিশাপের ধার্য্য দন্ডে করলে পন্ড
আধপেটা খাওয়া হাড্ডি জাগানো ক্লান্ত কৃষকের -ঘর্মাক্ত কস্টের ফসলের ক্ষেত বিনাশ!

কৃত্তিম ঠান্ডা হাওয়ার চাকচিক্যে মোড়ানো আফিস আর মসনদে বসি পাচ টাকার কলমে ওরা করে হাজার কোটি টাকার ক্ষেয়ানত!
তাদের তুমি করিয়া ক্ষমা মারিছো মোর খেটাখাওয়া কৃষক-মজুর আর তার মেহনত!

পরিশ্রান্ত আর ঘর্মাক্ত ধুলিমাখা জীর্ণ দেহটি তবুও নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে প্রতি ওয়াক্তে লুটিয়ে পরে তোমার-ই পবিত্র উপসনালয়ে!

হায়, বিশ্বাস-ভক্তিতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা এমন বান্ধা কোথা মিলিবে আর..!

তরমুজ-ডাল আর সূর্যমুখীর অধপতন দেখিয়া বলিছে ওরা এটাই বান্ধার পাপাচারের ফল!?

কলম দিয়া শিক্ষিত চোরারা করিলো খালি গরীবের
শষ্য ভান্ডার
দন্ড দিলে না তাদের তুমি; চুবিয়ে মারিলে অসহায়
কৃষক আর মজুর
হয়তো তারা কেউ নিরক্ষর কেউ মেট্রিক আন্ডার!