কেন্দুয়া প্রতিনিধি : মামার সাথে শত্রুতার জের ধরে ভাগ্নে সঞ্জু মিয়ার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী-আমতলা ইউনিয়নের সহিলাটী গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়ীর সামনে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পেমই তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সঞ্জু মিয়াকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সঞ্জু মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে হামলার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মিলন মিয়া ও এক নারীকে আটক করে। 

জানা যায়, ফতেপুর গ্রামের আব্দুর রাশিদের ছেলে সঞ্জু মিয়া ট্রলিযোগে একটি দুগ্ধবতী গাভী নিয়ে তার ভগ্নিপতির বাড়ীতে আটিগ্রামে যাচ্ছিলেন। সহিলাটি গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়ীর সামনে পৌঁছামাত্রই মিলন মিয়া ও তার ফুফাতো ভাই তাহের উদ্দিন, আঞ্জু মিয়া গংরা সঞ্জু মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সঞ্জু মিয়ার মামা ফতেপুর গ্রামের মাছচাষী মোখলেছ উদ্দিন। কয়েকদিন আগে মোখলেখ উদ্দিনের ফিসারীতে রাতে কে বা কারা বিষ জাতীয় দ্রব্য প্রয়োগ করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের শিং মাছ নিদন করে ফেলে। ওই ঘটনায় মোখলেছ উদ্দিন বাদী হয়ে মিলনের ফুফাতো ভাই তাহের উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মোখলেছ উদ্দিন জানান, ওই ঘটনার জের ধরেই আমার চাচাতো বোনের দিকে ভাগ্নে সঞ্জু মিয়াকে খুন করার জন্য সন্ত্রাসী হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকেরা। হামলাকারীরা এ সময় ভাগ্নের কাছ থেকে কিছু নগদ টাকাও নিয়ে যায়।তিনি জানান, তার ভাগ্নে সঞ্জু মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক।

পেমই তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সাদ্দাম হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় মিলন ও এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলেই থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০২৩)