কেন্দুয়া প্রতিনিধি : যৌতুকের জন্য গৃহবধূ লাকী আক্তারকে অমানুষিক নির্যাতন করেন স্বামী জুয়েল মিয়া। নির্যাতনের শিকার হয়ে ওই নারী তার স্বামীর বিচার চেয়ে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। জুয়েল মিয়ার বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে। প্রায় নয় বছর আগে একই উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে আবুল কালামের কণ্যা লাকি আক্তারের সঙ্গে রেজিস্টি কাবিন মূলে বিয়ে হয়। 

লাকি আক্তার অভিযোগ করে বলেন তার স্বামী জুয়েল মিয়া জুয়া খেলায় জড়িয়ে অনেক টাকা নষ্ট করেছেন। খেলার টাকা শেষ হয়ে গেলেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি হয় তার উপর। টাকা এনে দিতে না পারলেই চলে শারিরিক নিযার্তন। এভাবেই অত্যাচার নির্যাতন নিরবে সয্য করে কখনও বাবার বাড়িতে আবার কখনও স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন থাকেন লাকি। এরই মধ্যে তিন সন্তান জন্ম নেয়। লাকি আক্তার আরও জানান চলতি বছরের গত ২২ মার্চ জুয়েল মিয়া তার বসত বাড়িতে লাকি আক্তারকে বিদেশ যাওয়ার জন্য দুই লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় লাকিকে বাড়িতেই বেধড়ক মার পিট করে। লাকি আক্তার তার শশুড় শাশুড়ীকে জানালে কোন ফল হয় নি। উল্টো তারাও লাকি আক্তারকে মারপিট করে। নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে জুয়েলের বাবা ফুলমিয়া বলেন আমরা লাকি আক্তারকে কোন দিন নির্যাতন করি না। এর পরো আমাদের বিরোধে থানায় অভিযোগ। এদিকে লাকি আক্তার কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন লাকি। রোববার লাকি আক্তাররের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন নির্যাতনের হাত থেকে আমি আমার জীবন বাঁচাতে চাই । স্বামী জুয়েল মিয়া সহ নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ আলী হোসেন বলেন, লাকি আক্তারের অভিযোগটি পেয়েছি এটি তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকতা ছুটিতে আছেন, তিনি ছুটি থেকে এলেই অভিযোগটি মামলায় আকারে নেওয়া হবে।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০২৩)