মিঠুন গোস্বামীম, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। 

রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টা থেকে ঘন্টা ব্যাপী গোয়ালন্দ পৌরসভার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাব সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ও যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি হেলাল মাহমুদ, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান, রিপোর্টাস ইউনিটির সহসভাপতি, ডিবিসি নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন এর রাজবাড়ী প্রতিনিধি দেবাশিস বিশ্বাস, বার্তা-২৪ ফোর এর ষ্টাফ রিপোর্টার সোহেল মিয়া, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ ও দেশ টেলিভিশন এর রাজবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শামীম, দৈনিক নয়া দিগন্ত এর গোয়ালন্দ প্রতিনিধি মেহেদুল হাসান আক্কাছ প্রমূখ।

এ সময় সাংবাদিকরা হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলেরও দাবী জানান। সেইসাথে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করা, হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দৈনিক বাংলা ও বাংলা ট্রিবিউন এর রাজবাড়ী প্রতিনিধি মইনুল হক মৃধাকে দেখতে যান রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম। এসময় তাঁর সঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান-নূর ইসলাম মুন্নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলুসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব নির্ধারিত গোয়ালন্দ উপজেলা কোর্ট মাঠ চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু তার আগেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠ দখল করে অবস্থান নেয়। ওই কর্মসূচিতে তিনি আসার আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের আহ্বায়কসহ ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে পৌছান। মাঠের কাছে পৌছানো মাত্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করে। এতে তাদের কর্মসূচি প- হয়ে যায়। পরে আহত নেতাকর্মীদের রাজবাড়ীর নিজ বাসায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার পাবনা বলে থানায় কোন মামলা করিনি।

তিনি বলেন, ওই সময় হামলার ছবি তুলতে গিয়ে দুইজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। তবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান। একই সাথে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক কালো আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানী ও গ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবী জানান।

(এমজে/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০২৩)