সিলেট থেকে : অহেতুক গন্ডগোল সৃষ্টি করতেই আগামী রবিবার হরতাল ডাকা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুক্রবার সিলেটে সুরমা নদীর উপর নির্মিতব্য কাজিরবাজার সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় একথা বলেন তিনি।

লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবিতে ‘সম্মিলিত ইসলামি জোট’ ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে, অহেতুক গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে এ হরতাল ডাকা হয়েছে।’

বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গত এক বছর ধরেই কঠিন আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের আন্দোলনের বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। তবে দেশের মানুষ কোনো কঠিন আন্দোলন চায় না। মানুষ তাদের কঠিন আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বহুল প্রত্যাশিত কাজিরবাজার সেতুর নির্মাণ কাজ সঠিক প্রক্রিয়ায় শুরু করা হয়নি মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ আছে।

এ বিষয়ে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসবেন বলেও জানান।

অর্থমন্ত্রীর সেতু পরিদর্শনে আসা উপলক্ষে সিলেট কাজিরবাজার মৎস্য আড়ত কল্যাণ সমিতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অর্থমন্ত্রী ছাড়াও এতে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ।

অর্থমন্ত্রী বিকেলে নগরীর আখালিয়া বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সংঘনায়ক শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথের’র সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র সালেহ আহমদ চৌধুরী, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, শ্রীমৎ বিমলানন্দ মহাথের, শ্রীমৎ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, শ্রীমৎ উপানন্দ মহাথের, শ্রীমৎ সংঘানন্দ মহাথের, সাধন কুমার চাকমা, অরুণ বিকাশ চাকমা, প্রকৌশলী সাজু বড়ুয়া প্রমুখ।

(ওএস/অ/অক্টোবর ২৪, ২০১৪)