স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরের বাহাদুরপুর বাঁশতলা জামে মসজিদে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর জখম হয়েছেন। পুত্রের পেটে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় প্রেসক্লাবে যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আহতের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার ছেলে কামরুল ইসলাম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্যদিকে হামলাকারীদের হুমকি ধামকিতে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, থানায় এজাহার দিয়েছেন। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন কামরুজ্জামান ওরফে মনু মিয়ার ছেলে জনি, আব্দুল মমিনের ছেলে ইমদাদুল হক, মৃত আব্দুল বারিক মোল্লার ছেলে আশিকুর রহমান, আব্দুল গনি মোল্লার ছেলে রিপন হোসেন, আব্দুল মমিন মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, শান্তি মোল্লার ছেলে শাহিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ৫ জনকে আটকের পরও মূলহোতা জনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে তাকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব।

উল্লেখ্য, যশোর শহরতলী বাহাদুরপুর বাঁশতলা জামে মসজিদে ঘড়ি নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় কামরুল ইসলাম নামে এক যুবকের পেটে চাকু দিয়ে আঘাত করে জনি নামে এক যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় আহত কামরুল ইসলামকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ( ৮ এপ্রিল) আসরের নামাজের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব ও বারিক মোল্লার ছেলে আশিকুর মসজিদে লাইট বিশিষ্ট ঘড়ি নিয়ে কথা কাটাকাটি করে। এ ঘটনার জের ধরে আশিকুরের ভাইপো জনি (৩২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাবের ছেলে কামরুলের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় জনি পকেট থেকে চাকু বের করে কামরুলের ডান পাশের তলপেটে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় ইমদাদুল নামে আরেকজনকে মারপিট করা হয়। মারপিটে ইমদাদুলের একটি দাঁত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় আশিকুর, জনি, ইমদাদুল, হায়দার ও তৌফিকসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো।

(এসএমএ/এএস/এপ্রিল ১২, ২০২৩)