স্পোর্টস ডেস্ক : টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের মেসিপ্রেমের খবর কে না জানে? আর্জেন্টাইন ফুটবলের ভক্ত তিনি। ছোটবেলা থেকে তার প্রিয় ফুটবলার ম্যারাডোনা এবং গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। এখন মেসির ভক্ত ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। প্রিয় ফুটবলারকে নিয়ে এবার রীতিমত কলামও লিখে ফেলেছেন তিনি।

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসির জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেক বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে তার প্রভাবও। যে কারণে টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছে মেসি এবং এমবাপের নাম।

বিশ্বজুড়ে মেসির অসংখ্য গুণমুগ্ধ ভক্ত রয়েছেন। যার মধ্যে রজার ফেদেরারও একজন। এমন এক প্রিয় ফুটবলারকে নিয়ে সুযোগ পেয়েই কলাম লিখে ফেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা ফেদেরার লিখেছেন আমেরিকার ‘টাইম’ পত্রিকায় time.com।

শুরুতেই ফেদেরার লিখেছেন, ‘মেসির গোল করার রেকর্ড এবং শিরোপা জয় নিয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ৩৫ বছরের মেসির যে বিষয়টা আমাকে আকর্ষণ করে তা হল, এত বছর ধরে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যেমন কঠিন তেমনই কঠিন ধরে রাখা। ও জাদুকরের মতো ড্রিবল করে। কোনাকুনি যে শটগুলো নেয়, সেগুলো শিল্প। ওর সচেতনতা এবং অনুমান ক্ষমতা বোধগম্য নয়।’

গত বছর পেশাদার টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন রজার ফেদেরার। অবসরের পর উপলব্ধি করেছেন, তাদের মতো ক্রীড়াবিদ বাকিদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনে সেটা তারা বুঝতে পারেন না।

ফেদেরার লিখেছেন, ‘মেসির মতো ফুটবলারের ক্ষেত্রে এর ব্যাপ্তি আরও বেশি। কারণ মেসি একটি বিশ্বখ্যাত ক্লাব এবং ফুটবলপাগল দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় দুর্দান্ত ছিল। বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় লাখ লাখ মানুষের নেমে পড়া খেলাধুলার জন্য একটা অসাধারণ মুহূর্ত ছিল। গোটা বিশ্ব তা দেখেছে। যারা ফুটবলপ্রেমী নন, তারাও বুঝেছেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার প্রভাব কতটা।’

আগামী বিশ্বকাপে মেসি খেলবেন কী খেলবেন না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি আর কতদিন খেলবেন, সে বিষয়টাও নিশ্চিত নয়। তবে মেসিকে আরও কিছুদিন মাঠে দেখতে চান ফেদেরার। ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক লিখেছেন, ‘ছোট বয়সে দিয়েগো ম্যারাডোনা এবং গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ছিলেন আমার পছন্দের খেলোয়াড়। দু’জনের সঙ্গেই দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এখন মেসি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রেরণা দিতে পারে। ওর সৃজনশীল এবং শৈল্পিক খেলা আরও কিছুদিন দেখতে চাই। মেসি যখন মাঠে খেলে, তখন চোখের পাতা বেশি ফেলবেন না। তাহলে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া মানুষটার অসাধারণ কোনও মুহূর্ত চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ লিও।’

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০২৩)