আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনায় স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক স্ত্রী। ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম খাদিজা আক্তার (২৫), তিনি তালতলীর লালুপাড়া এলাকার মৃত মোতালেব খানের মেয়ে। এবং বরগুনা পৌরশহরের স্টেডিয়াম সড়কের রাসেল মিয়ার স্ত্রী।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা এগারোটায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বামী রাসেলের পরকীয়া ও যৌতুক দাবির অভিযোগ আনেন ওই গৃহবধূ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গৃহবধূ জানান, গত ১০১৮ সালে রাসেলের সাথে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হয় তাদের। দীর্ঘদিন ঘর সংসার করার পর তাদের পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিছুদিন পর পুত্র সন্তানটি মারা যার। তারপর আবার একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে, যার ২ বছর। তবে স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও রাসেল এক এনজিও কর্মীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়, পরকীয়ার জেলে তার স্ত্রী খাদিজাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে থাকে। এছাড়াও মোটা অংকের যৌতুকের টাকা দাবি করে।

সম্প্রতি ওই রাসেল ও তার পরকীয়া প্রেমিকা সোনিয়াকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয়রা। ঘটনার দুদিন পর খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এবং সংবাদ প্রকাশ করলে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।

গৃহবধু খাদিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী আমার বাড়ীর পাশের ব্রাক কর্মী মোসাঃ সোনিয়ার সাথে পরকীরা প্রেমে লিপ্ত হওয়ার পর থেকেই আমার উপর বিভিন্ন রকমের জুলুম ও নির্যাতন করেন এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে যৌতুক দাবী করে। এমনকি ঐ ব্রাক কর্মী আমাকে ফোনে হুমকী নিয়ে আমার সংসার ভাঙর কথা বলে এবং রাসেলকে তার স্বামী বলে দাবী করে। এ বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য লোকজনকে জানাই এবং একাদিক বার শালিশ বৈঠক হয়েছে। পরবর্তীতে সোনিয়ার ভাড়া বাসায় তাদের দুজনকে এলাকাবাসি গত ৪ তারিখ রাত আনুমানিক ১২ টার সময় আপত্তিকর অবস্থায় ঘরের মধ্যে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এর দুদিন পর কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করে। পরে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে এবং ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে।

তিনি আরও বলেন, তাদেরকে স্থানীয়রা আটকের ঘটনার দুইদিন পর সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করে। আমার স্বামীর কু-পরামর্শে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের জেরে ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা যারা রাসেলের কু-কর্মের প্রতিবাদ করেছেন তাদের সহ দু জন সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবান জানাই। এ বিষয়টি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাই।

(এএস/এএস/এপ্রিল ১৫, ২০২৩)