ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চর পুবাইল গ্রামে পৈতৃক সম্পত্তি পেনশন ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই শাহীন রামদা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাই নজরুল ইসলামকে খুন করেছে। এসময় আরো চারজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন হুমায়ুন কবীর বিপুল (২২),  জান্নাত (১৭) ও ইমাম শামীম মিয়া (২২)। 

আহতদের মধ্যে হুমায়ুন কবীর বিপুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে চরপুবাইল দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে ইমাম শামীম মিয়া জানান, শুক্রবার ফজরের সময় পাঁচজন মুসল্লী নিয়ে নামাজ শুরু করি। প্রথম রাকআতে রুকুতে যাওয়ার সময় জাহাঙ্গীর আলম লিটন তার ভাই নজরুলকে পিছন দিক থেকে রামদা দিয়ে কোপ দেয়। এসময় নজরুলের পাশে থাকা তার অপর ভাই হুমায়ুন কবীর বিপুল জাহাঙ্গীরকে বাঁধা দিয়ে মসজিদ থেকে বের করে নিয়ে যায়। এসুযোগে শাহীন আলম (৩৫) মসজিদে ঢুকে চাপাতি দিয়ে নজরুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। এসময় ইমামের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বিষয়ে নিহতে মা ফাতেমা খাতুন (৬৫) বলেন, আমাকে আমার বড় ছেলে বিপুল এবং সেঝো ছেলে নজরুলই দেখাশোনা করত। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিপুল এবং নজরুলের সাথে আমার অপর দুই ছেলে জাহাঙ্গীর ও শাহীনের বিরোধ চলে আসছিলো। এমনকি জাহাঙ্গীর ও শাহীন আমার নামেও একটা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মামলা করেছে। আর এখন তারাই আমার নিরপরাধ ছেলে নজরুলকে মসজিদে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান জানান, নিহত নজরুল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়ায় লাশ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা হয়নি। তবে আসামী গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

(এন/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০২৩)