বিপুল কুমার দাস, রাজৈর : মাদারীপুর জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মোঃ দবির হোসেন এর বিরুদ্ধে কোবিট-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রমের মৃত ব্যক্তি সহ বিভিন্ন ব্যক্তির  নামে ভুয়া বিলের তালিকা তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে।

বিস্বস্ত সূত্রে ও অভিযোগকারীর সূত্রে, জানা যায়, রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপইআই) দবির হোসেন হাওলাদার কোবিট-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের ১-৭ ডিসেম্বর/২০২২ বিশ্বস়ংস্থার অর্থায়নে ওয়ার্ড পর্যায়ের বুষ্টার ডোজের ০৩ (তিন) দিনের একটি এবং ০৫-১১বছর বয়সি শিশুদের স্কুল পর্যায়ের ১২( বার) দিনের লক্ষ, লক্ষ টাকার ভুয়া বিলের তালিকা প্রস্তুত করে, উক্ত অর্থ উত্তোলন করে, সামান্য কিছু অর্থ কিছু সংক্ষ্যক ব্যাক্তিকে প্রদান করে বাকি অর্থ আত্মসাত করেছে, এই মর্মে অভিযোগকারী, অভিযোগ দাখিল করেছে। বিলে দেখা যায়, অনেক ভেকসিনেটর ও ভলান্টিয়ারের নাম ভূয়া, মৃত কর্মচারী, কাজ করেনি এমন অনেকের নাম। দবির হোসেন শুধু ভূয়া বিল করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, সে ভূয়া বিল সমুহের বিলে আগে থেকেই স্বাক্ষর করে নিয়েছে।

এছাড়াও আরো জানা যায়, রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শকদের নাম প্রস্তুতকৃত বিলে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের স্বাক্ষর নিয়েছে তারা এই প্রোগ্রামের সাথে জড়িত ছিল না।

আরো জানা যায়, এ ব্যাপারে, রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন প্রথমে মাদারীপুর জেলার সিভিল সার্জন এর বরাবরে পরে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) ঢাকা বিভাগ, ঢাকাএর বরাবরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপইআই) মোঃ দবির হোসেন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ভিন্ন, ভিন্ন দুটি অভিযোগে দাখিল করে।

এ অভিযোগ দাখিল এর প্রেক্ষিতে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির সদস্য গন হলেন, সভাপতি, সহকারী পরিচালক (প্রসাশন), বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) এর কার্যালয়, ঢাকা বিভাগ, ঢাকা। সদস্য, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, সদস্য,থানা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা, তেজগাঁও, ঢাকা।

(বিডি/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২৩)