নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবুল হাসিম দেশমাতৃকার অকুতোভয় দুঃসাহসী সন্তান হিসেবে ছোট দীপুকে মায়ের কোলে রেখে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন- এটাই যে তার শেষ সংগ্রাম তিনি তা বুঝে উঠতে পারেন নাই। ছোট দীপু বুঝে উঠার আগেই পিতা দেশমাতৃকার ডাকে নিজেকে আত্মউৎস্বর্গ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য।

যখন দীপু বঝতে শিখলেন তার পিতা এত বড় বীর সেনানী- যিনি দেশের জন্য নিজেকে উৎস্বর্গ করেছিলেন। দেশকে জালিম হায়েনাদের কাছে উদ্ধার করতে নিজের জীবন বাজি রেখে আদরের স্ত্রী/ সন্তানকে রেখে যুদ্ধে গিয়ে জীবন দান করেছেন তখন থেকেই তিনি (দীপু) দেশের ও মানুষের প্রতি মমত্ব বোধ জাগিয়ে তুললেন। উচ্চশিক্ষিত হয়েও তিনি চাকুরী না করে দেশ সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ শহরে সামাজিক প্রায় কাজকর্ম তার অবদান অনস্বীকার্য। এলাকায় খেলাধুলা, কোন অসহায় পিতার মেয়ের বিয়ে, কোথায় কেউ মারা গেছেন লাশ সৎকার। যে কোন বর্নের সামাজিক/ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার অবদান সবার অজান্তেই হয়ে যায়।

রমজান মাস তিনি তার বৈঠক খানার দরিদ্র রোজাদার সকলের জন্য প্রত্যাহ ইফতার ব্যাবস্থা চালু রেখেছেন। দীপু দেশে না থাকলেও তার একজন বিশ্বস্থ মানুষ সবুর সব সময় এ ব্যাপারে তদারকি করে চলেছেন। তার নিজেস্ব আবুল খায়ের দীপু ট্র‍্যাভেলস এর মাধ্যমে অনেক অসহায় ও দরিদ্রদের উমরা পালনে ধন্য করেন।

এই প্রতিবেদকের সাথে তার আলাপচারিতায়কৃষিবিদ আবুল খায়েরদীপু বলেন, মানুষের মাঝেই ঈশ্বর বাস করেন, তাই আমি মানুষকে ভালবাসি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

(এনআরকে/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২৩)