কেন্দুয়া প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে এফডিআরএর এক গ্রাহকের ২ লাখ টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা করেন ফ্যাকার মতিউর রহমান। ওই ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলেও ওই ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা চলচে বলে অভিযোগ ওঠেছে। 

জানা যায়, চলতি বছরের গত ১৩ই মার্চ কেন্দুয়া পৌরশহরের আরামবাগ মহল্লার বাসিন্দা বেনু চন্দ্র দামের স্ত্রী শিপ্লা রানী দাম কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে ৩ বছর মেয়াদী ২ লাখ টাকা মূল্যের একটি এফডিআর খোলেন। তিনি ওই টাকা এফডিআরএ জমা দিতে পোস্ট অফিসে কর্মরত ফ্যাকার মতিউর রহমানের কাছে যান। মতিউর রহমান ওই টাকা জমা না দিয়ে উপজেলা পোস্ট মাস্টারের সীল মোহর ব্যবহার করে গ্রহীতা শিপ্রাকে ২ লাখ টাকা জমা দেওয়ার একটি ভূয়া রশিদ দেন। পরবর্তী সময়ে তার সন্দেহ হলে গত ১১ এপ্রিল তিনি রশিদটি নিয়ে উপজেলা পোস্ট মাষ্টারের নিকট গিয়ে জানতে পারেন তার এফডিআরএর ২ লাখ টাকা জমা হয়নি। শিপ্রা এর বিচার চাইলে উপজেলা পোস্ট মাষ্টার মোঃ এনায়েত হোসেন ঘটনাটি জেলা পোস্ট অফিসে পরিদর্শক শফিউল আজম খানকে জানান। তিনি তদন্তে এসে ওই টাকা জরুরিভাবে এফডিআরএ জমা দিতে নির্দেশ দিলে ১২ এপ্রিল মতিউর রহমান শিপ্রা রানী এফডিআরএ ২ লাখ টাকা জমা দেন।

উপজেলা পোস্ট মাষ্টার মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, গ্রহকের ওই ২ লাখ টাকা উদ্ধার করে শিপ্রা রানীর এফডিআরএ জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ফ্যাকার মতিউর রহমানকে তার কর্তব্য কাছ থেকে বিরত থাককে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিসের পরিদর্শক শফিউল আজম খানের সঙ্গে সোমবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাক যোগে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নিবেন তা জানিনা। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবনা। ফ্যাকার মতিউর রহমানের সাথে ২ লাখ টাকা আত্মসাতের পায়তারা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রাহক শিপ্রা রানীর কাছ থেকে লাভ দিয়ে ২ লাখ টাকা তার ব্যক্তিগত কাজে লাগাতে নিয়ে ছিলেন। এখন আবার ওই টাকা লাভসহ ফেরত দিয়েছেন। তিনি আত্মসাতের কোন চেষ্টা করেননি বলে দাবি করেন।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০২৩)