শিমুল সাহা, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের পোদ্দার বাজারে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্যাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

এতে আসামি করা হয়েছে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদীকে। এ ছাড়া আরও ১৭ জনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৪-১৫ জনকে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।

আবুল কাশেম জেহাদী একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তার বাহিনীর সদস্যরা।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা। তিনি একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

মামলার বাদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদীর সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। জেহাদী তার ভাই নোমানকে হত্যার হুমকি দিত। পরিকল্পিতভাবেই নোমান ও রাকিবকে হত্যা করেছে জেহাদী ও তার বাহিনীর সদস্যরা। হত্যার বিচার দাবি করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

(এসএস/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২৩)