ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এমপিওভূক্ত বারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না মামলার কারণে অন্যদিকে নানা জটিলতায় তিনটি প্রতিষ্ঠানে নেই কোন পরিচালনা কমিটি। এছাড়াও কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ও অন্যান্য জটিলতায় দশটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে এডহক কমিটি। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পরিচালনা কমিটি গঠন না হওয়ার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরাজ করছে অস্থিরতা এবং ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্য়ক্রম। অন্যদিকে নিয়মিত কমিটি গঠিত না হওয়ার ফলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ-প্রধান এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী বেসরকারি এমপিওভূক্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে থাকে পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১ টি সরকারী কলেজ, ১টি এমপিওভূক্ত কলেজ, ২টি বেসরকারি কলেজ, ৩টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩৪টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি স্বতন্ত্র বিএম ও ভোকেশনাল এবং ২৩টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আঠারবাড়ি এমসি উচ্চ বিদ্যালয়, মল্লিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়, উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চরজিতর উচ্চ বিদ্যালয়, ইয়াসিন উচ্চ বিদ্যালয়, মধুপুর আব্বাসিয়া মাদ্রাসা, হাটুলিয়া দারুসুন্নাহ মাদ্রসা, সাখুয়া মজিদিয়া মাদ্রাসা, রাউলের চর দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ সাটিহারী মাদ্রাসা ও বৈরাটি মাদ্রাসায় মামলা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বারবার এডহক কমিটি গঠন করা হলেও বিভিন্ন অভিযোগ ও মামলার কারণে সম্ভব হচ্ছে না পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা।

কমিটি গঠনের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে অভিভাবকদের সুসম্পর্কের অভাব এবং সর্বোপরি নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই এসব প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন হয় নাই সেসব প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের মামলা চলমান রয়েছে মামলার বিষয়ে সঠিকভাবে আদালতে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত কারণে পাঠদানে যেন কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

(এন/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২৩)