গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বোরো ধানের জাত বিনাধান-২৫ এর সম্প্রসারণ উপলক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের কৃষক মোঃ বাচ্চু শেখের বাড়িতে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহা-পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ও বিনার উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী, বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ফার্ম ম্যানেজার আলমগীর কবির, কৃষক বাচ্চু মোল্লা সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এই উঠান বৈঠকে ৫০ জন কৃষক ও কৃষাণী অংশ নেন।

পরে কৃষক বাচ্চু মোল্লার ১০০ শতাংশ জমিতে চাষকৃত বিনাধান-২৫ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহা-পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। এ সময় বিনার পদস্থ কর্মকর্তা, কৃষক ও কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাঠে এই জাতের ধানের সমারোহ দেখে আগামীতে কৃষকরা এই জাতের ধান আবাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহা-পরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, দেশের চাহিদা অনুসারে সরু ও চিকন (প্রিমিয়াম কোয়ালিটি) চাল অপ্রতুল। বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আমাদের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ বিনা ধান-২৫ উদ্ভাবন করেছে। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর বিনা ধান-২৫ জাতের ছাড় করা হয়। পাকিস্তান বা ভারতে এ ধরনের বাসমতি টাইপের জাত আছে। বিনা ধান-২৫ থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য সরু ও চিকন বাসমতি (প্রিমিয়াম কোয়ালিটি) চাউল পাওয়া যাবে। এই চাউল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। দেশে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চালের আমদানি নির্ভরতা কমাবে।

বিনার প্রধান আরো বলেন, আমাদের আসল উদ্দেশ্য কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করা, রপ্তানিমুখী করা। আমদানি নির্ভরতা কমানো। সেই জায়গায় বিনা ধান-২৫ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই ধান আবাদ করলে কৃষক দ্বিগুণ লাভ করতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা উঠান বৈঠকে কৃষক ও কৃষাণীর সাথে কথা বলেছি। তারাও এই ধান চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আগামী বছর আমরা গোপালগঞ্জের ২০০০ কৃষককে দিয়ে এই ধানের আবাদ সম্প্রসারণ করব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।

(এমএস/এএস/মে ০২, ২০২৩)