বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের আহবায়ক শিমুল হক রেহানের জানাযা নামায শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।

শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে থানা পুলিশ রেহানের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে। গতকাল শুক্রবার বাদ আসর বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলায় জানাযা নামায শেশে মরহুমের দাফন ভাইপাগলার মাযার মসজিদ গোরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে জেলা সৈনিকলীগসহ নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বগুড়া জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, শনিবার বাদ আছর বগুড়া শহরের মালতীনগরস্থ বটতলায় নিহত রেহানের নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, শিমুল হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শহরদিঘির সবুজ সওদাগর, শহরের ফুলবাড়ি এলাকার এনামুলের পুত্র রাহাত, শহরদিঘির সিরাজুলের পুত্র সোহান, পালশা গ্রামের জাহিদুরের পুত্র বেলাল, জামিল নগর সাইদুল ইসলামের পুত্র বিপুল আটক রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রেহান হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক

শহিদুল ইসলাম বাপ্পি জানান, নিহত রেহান জেলা ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা মালিক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তাকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে সংগঠনের সদস্যবৃন্দ কালো ব্যাচ ধারন করেছে।

উল্লেখ্য শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় চত্বরে সৈনিক লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে থুন হন জেলা কমিটির আহবায়ক শিমুল হক রেহান। নিহত রেহান বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মালিয়ানডাঙগা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র। সে বগুড়া শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার বসবাস করতো।

(এএসবি/এটিঅার/অক্টোবর ২৫, ২০১‌৪)