আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামের নবী হোসেনের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে জমি দখলের চেষ্টা এবং ওই ঘরের বাসিন্দাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নবী হোসেন ও তার স্ত্রী হাফিজা আক্তারসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২মে) বেলা ৩টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাতেমপুর এলাকার খলিল মুন্সির ছেলে নবী হোসেনের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী নবী হোসেন জানান, তার জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মঙ্গলবার সকালে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন তাকে পরিষদে ডাকে। এসময় তখন তাকে কিছু সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে চেয়ারম্যান। স্বাক্ষর না করায় তার মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে এলাকা ছাড়ার জন্য বলেন তিনি। যদি এলাকা না ছাড়ে তাহলে তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলাসহ মারধরের হুমকি দেওয়া হয়।

নবী হোসেন আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ছগির হোসেন ও তার লোকজন শহিদ, কবির, বারেক, সোহাগ, ফোরকানসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।

নবী হোসেনর মা বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় এ হামলায় আমাদের ঘড় বাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমার ছেলে নবী হোসেন ও পুত্রবধূ হাফিজা আক্তারসহ চার জনকে মারধর করে। এই ঘটনায় প্রতিপক্ষ ছগির হোসেনের আঘাতে আমার ছেলে নবী হোসেনের মাথায় জখম হয়। এবং অপর তিনজন আহত হন। ঘটনার পর পরই নবী হোসেনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিয়ে যায় স্বজনরা।

অভিযোগের বিষয়ে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি কেন তাদেরকে মারধর করতে যাব! তাদের সাথে পাশের বাড়ির ছগিরের সাথে জমি জমা নিয়ে ঝামেলা। সেই ঝামেলা আমার পরিষদে মিটমাট হওয়ার কথা ছিল। আমি তাদেরকে কোন মারধর করিনি।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএস/এসপি/মে ০৪, ২০২৩)