স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফেভারিট বাছাই শুরু হয়ে গেছে। পর্তুগালের হয়ে ফুটবল খেলা ডেকো এবারের বিশ্বকাপে এগিয়ে রাখছেন তার জন্মভূমি ব্রাজিলকেই। এবারের বিশ্বকাপে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রাজিলকে এগিয়ে রাখতে গিয়ে দুটি বিষয় সামনে তুলে এনেছেন ডেকো। খেলাটা হচ্ছে ব্রাজিলে এবং তাদের কোচের নাম লুই ফেলিপে স্কলারি।

"ব্রাজিলের ঘরের মাঠের সুবিধা আছে। এ কারণেই তারা ফেভারিট।ব্রাজিলকে ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতানো স্কলারির অধীনে পর্তুগালের হয়ে ৫ বছর খেলেছেন ডেকো। এই দুজন এক সঙ্গে আরো একটা মৌসুম কাটিয়েছেন চেলসিতে। স্কলারির অভিজ্ঞতা যে ব্রাজিলের সাফল্যের জন্য মূল্যবান একটা বিষয়, সেটা তিনি ভালো করেই জানেন। আর নিজেদের মাঠের সুবিধা তো যেকোনো স্বাগতিক দলই পায়।

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে জন্ম নেয়া ডেকো সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আসন্ন বিশ্বকাপে শিরোপা দাবিদারদের নিয়ে বিশ্লেষণও করেছেন। ১৯৯৭ সালে ১৯ বছর বয়সে ব্রাজিল থেকে পর্তুগালে চলে যাওয়া ডেকোর মতে, ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতে পারে তাদের রক্ষণ ও মাঝমাঠ।

“তাদের আক্রমণভাগ অতটা ভালো নয়। তবে ব্রাজিলের রক্ষণ আর মাঝমাঠ দারুণ শক্তিশালী।”

পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়া ডেকো ফুটবলে ‘ইউরোপের ব্রাজিল’ নামে পরিচিত দলটির হয়ে ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিজ্ঞতা তাই ভালোই আছে উয়েফা কাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী সাবেক এই ফুটবলারের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন, ঘরের মাঠে খেলার জন্য প্রত্যাশার চাপও সামলাতে হবে ব্রাজিলকে।

“অবশ্যই তাদের ওপর চাপটা অনেক বেশি। তারা ১৯৫০ সালে উরুগুয়ের কাছে হেরে যাওয়া দলটির উত্তরসূরি। যদিও সেটা অনেক আগের ব্যাপার।”

তবে এই চাপ কিভাবে সামলাতে হয় এবং এর মধ্যে খেলোয়াড়দের কিভাবে ঠিক রাখতে হয়, সেটা স্কলারি খুব ভালোভাবে জানেন বলেই মনে করেন ডেকো।

“স্কলারি সেরা কোচ। ব্রাজিলকে কোচিং করানোর চাপ সম্পর্কে তিনি ভালোই জানেন। তিনি তার খেলোয়াড়দের মানসিকতাও বোঝেন। সবচেয়ে বড় কথা, সবাইকে অবাক করে ২০০২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি।”

শুধু ব্রাজিল নয়, ডেকো আর্জেন্টিনা আর পর্তুগাল দলেরও শিরোপা সম্ভাবনা দেখছেন। আর্জেন্টিনার সঙ্গে উরুগুয়েকেও তার ভালো দলই মনে হয়।

তবে পর্তুগাল এবার কঠিন গ্রুপে পড়েছে বলে মনে করেন তিনি, “পর্তুগাল গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারলে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।”

(ওএস/পি/এপ্রিল ২৯,২০১৪)