জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে র‌্যাবের সোর্স সন্দেহে হামিদ উল্লাহ (৩৫) নামে এক কৃষককে জবাই করে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ সরলের হাজিরখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হামিদ উল্লাহ ওই এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাহফুজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী মরতুজা বেগম (২৮)। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

জানা গেছে, সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩টার সময় কৃষক হামিদ উল্লাহ’র তৈরি নতুন বেড়ার ঘরে প্রবেশ করে হামিদ উল্লাহকে উপর্যপুরি কুপিয়ে শরীর ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। পরে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ২০১৯ সালে ক্রস ফায়ারে নিহত ডাকাত জাফর আহমদ প্রকাশ জাফর মেম্বার ও ডাকাত মো. খলিলের ছেলেরা কুপিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির বিরোধ ছিল। পারস্পরিক মামলা মোকদ্দামার বিরোধ এবং র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহতের ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের বিরোধের কাহিনী প্রকাশ্যে প্রচার রয়েছে। এছাড়া ক্রস ফায়ারে নিহত ডাকাত জাফর আহম্মদ প্রকাশ জাফর মেম্বারের স্ত্রী রহিমা আক্তার বর্তমানে সরল ইউনিয়নের (১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের) ইউপি সদস্য।

ঘটনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত হামিদ উল্লাহ (৩৫)’র স্বজনরা শোকে বিলাপ করছে। তার বোন জোহরা বেগম বিলাপ করে বলছেন, আমার ভাই গত শুক্রবার (৫ মে) দোয়া দুরুদ পড়ে বেড়ার তৈরি নতুন ঘরে উঠেছে। ওই ঘরেই রাতে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন করে আমার ভাইকে জবাই করে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে ডাকাত জাফর ও খলিল র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। এরপর থেকে ওদের ছেলে মো. মোরশেদ (২৮), মো. মিনহাজ (২০), এহসান (২৮), মো. মুনাফ (৩৫) সহ অনেকে দীর্ঘদিন ধরে হাটতে বসতে হুমকি দিয়ে আসছিল আমার ভাই মো. হামিদকে। সেই ঘটনার রেশ ধরে আমার ভাইকে র‌্যাবের সোর্স মনে করে হত্যা করেছে।

তবে জাফরের স্ত্রী ইউপি সদস্য রহিমা আক্তার বলেন, রাতে আমার ছেলে মোরশেদ বাড়িতে ঘুমে ছিল। আমার ছেলে খুন করেনি। হামিদের সাথে আমাদের জায়গা জমির বিরোধ আছে। কারা খুন করেছে জানি না।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন জায়গা জমির বিরোধ এবং র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহতের ঘটনার র্সোস সন্দেহে হামিদ উল্লাহ খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে পুলিশ ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে।

(জেজে/এসপি/মে ০৮, ২০২৩)