কর্ণফুলীতে চেয়ারম্যানের বিচক্ষণতায় ‘চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত’
জে.জােহদ, চট্টগ্রাম : কর্ণফুলী উপজেলার উত্তর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকা চলাচলের রাস্তা অবশেষে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান তালুকদার।
ইউপি চেয়ারম্যানের বিচক্ষণতা ও সার্বিক হস্তক্ষেপে অবশেষে ভুক্তভোগী লোকজনের জন্য চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করা হয়। এতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার মৌলানা আব্দুল হালিম ও সামশুল আলম এর বিরোধ মিমাংসা করা হয়।
নানা সালিশ বিচারে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় অতীতে এই চলাচলের জায়গা ও নালা নিয়ে মারামারি ও মামলা চলে পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
গত বুধবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান তালুকদার নিজেই স্পটে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে, চলাচলের রাস্তা দেখে, স্থানীয় মেম্বারদের সাথে কথা বলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। পাশাপাশি তিনি উপস্থিত থেকে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে ভবিষ্যতে যাতে এ নিয়ে আর সমস্যা না হয় তাঁর দিকনির্দেশনাও দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাস্তাটি পাকা করে দেবেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উভয়কে মিলিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছাত্রনেতা নূর মোহাম্মদ নাঈম।
তিনি আরো জানান, ‘তাঁরা পূর্বের দিনের ন্যায় প্রতিবেশী হিসেবে মিলে-মিশে থেকে একে অপরকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। চেয়ারম্যান দু’পক্ষের মধ্যে সুন্দর একটি সমাধানের সৃষ্টি হয়।’
চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান জানান, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ এ দু’প্রতিবেশীর মধ্য সৃষ্ট বিরোধ নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। দু’পক্ষের সঠিক আন্তরিকতার অভাবে এ সমস্যা নিরসন হয়নি। ঘটনাটি চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের (৩ নং ওয়ার্ড) হাফিজ এর বাপের বাড়ি অনেকে ডাকেন মৌলানা আব্দুল আলিম হুজুর বাড়ির। দীর্ঘদিনের পানির নালা ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। মীমাংসা না হওয়ায় চলাচলের রাস্তা নিয়ে থানায় অভিযোগও হয়েছে। অবশেষে চেয়ারম্যান নিজে এসে পানির নালা সমাধানসহ সব কিছুর একটা স্থায়ী সমাধান দিয়ে গেলেন।’
এ বিষয়ে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান তালুকদার জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি, উভয় পক্ষকে একত্রিত করে চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’পক্ষের আন্তরিকতা ও সোহার্দপূর্ণ ও ভালো ব্যবহারের অভাবেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা উভয়পক্ষকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছি। এটা আহামরি কিছু নয়, সামাজিক দায়িত্ব বলা যায়।
মৌলানা আব্দুল হালিম ও সামশুল আলম এর আত্বীয় স্বজনেরা জানান, রাস্তার জন্য পথ খুলে দিয়েছেন। তার সাথে পূর্বের ন্যায় প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের পরিবারেরও ভালো সম্পর্ক বজায় থাকবে। চেয়ারম্যান সাহেব স্থায়ীভাবে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’
এছাড়াও পরবর্তীতে মৌলানা আব্দুল হালিম ও সামশুল আলম এ পরিবার যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনে ইটের রাস্তা তৈরি করে দেবেন ইউনিয়ন পরিষদ। স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উভয় পক্ষ এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন স্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
(জেজে/এসপি/মে ১১, ২০২৩)