কক্সবাজার প্রতিনিধি : অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা দেশের উপকূল সন্ধ্যা নাগাদ অতিক্রমের সম্ভাবনা থাকলেও কক্সবাজারের পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বাতাসের গতি।

আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে এগিয়ে বিকেল নাগাদ মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছে দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল পার হতে পারে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, এখনও পর্যন্ত কক্সবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সাগরে জোয়ার আসলে পানি ও বাতাসের তীব্রতা কিছু বাড়তে পারে। এ পর্যন্ত দুই লাখের অধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেন্টমার্টিন নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। বর্তমানে সেখানে বাতাসের গতি বেড়েছে। মানুষকে আতংকিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রশাসনের সমন্বয় হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের পরেই ঘূর্ণিঝড়ের কাছে রয়েছে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দর। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে।

(ওএস/এসপি/মে ১৪, ২০২৩)